মুখ ও দাঁতের যত্নে আমরা কত কিছুই না ব্যবহার করি। আর দাঁতের সুস্থতার জন্য টুথব্রাশ ব্যবহার করি। কিন্তু সেই টুথব্রাশ যদি জীবাণুতে ভরা থাকে তাহলে কী হবে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এজন্য টুথব্রাশ জীবাণুমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। দেখে নিন কিভাবে এটি করবেন-
♦ ব্যবহারের আগে ও পরে ট্যাপের পানির ধারায় টুথব্রাশ ধরে রেখে পরিষ্কার আঙ্গুল দিয়ে ব্রিসলগুলো ঘষে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর ব্রাশ থেকে অতিরিক্ত পানি ঝেড়ে ফেলতে হবে। প্রতিদিন ব্রাশ শেষে ব্রাশটি ভালো করে পরিষ্কার করুন।
♦ খোলামেলা, আলো বাতাসযুক্ত শুকনো স্থানে টুথব্রাস রাখা উচিত।
♦ ভেজা, স্যাঁতসেতে জায়গায় বা বন্ধ কন্টেইনারে টুথব্রাশ রাখলে তাতে জীবাণু আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
♦ প্রতি সপ্তাহে একবার মিনিট দুয়েকের জন্য গরম পানিতে আপনার ব্রাশটি ভিজিয়ে রাখুন। এতে ব্রাশ জীবাণু মুক্ত থাকবে।
♦ টুথব্রাশ যদি ৫ মিনিটের বেশি মেঝেতে পড়ে থাকে তবে জীবাণু সেখানে ছড়িয়ে যায় এবং আমাদের পায়ের পাতার মধ্যে দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই, খুব সাবধানে রাখুন নিজের টুথব্রাশকে।
♦ একজনের টুথব্রাশ আরেকজনের সঙ্গে শেয়ার করা যাবে না। এতে তার শরীরের জীবাণুসমূহ আপনার শরীরে প্রবেশ করে আপনাকে রোগাক্রান্ত করতে পারে।
♦ টুথব্রাশ ব্যবহারের পর তা একটি লম্বাকৃতির কন্টেইনারে এমনভাবে খাড়া করে রাখতে হবে, যেন একটি টুথব্রাশের সঙ্গে অপরটি স্পর্শ না করে।
♦ দাঁতে অতিরিক্ত জোরে টুথব্রাশ ঘষা উচিত নয়। এটি দাঁতের জন্যে যেমন ক্ষতিকর, তেমনি টুথব্রাশের জন্যেও।
♦ সাধারণত প্রতি ৩–৪ মাস পরপর টুথব্রাশ পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হলেও, ব্রিসল এর অগ্রভাগ বেঁকে যেতে শুরু করলেই টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত। ব্রিসল এর আকার বিকৃত হয়ে গেলে তা দিয়ে দাঁত ভালোভাবে পরিষ্কার হওয়া সম্ভব নয়।
♦ ভ্রমণে যাওয়ার সময় টুথব্রাশের ব্রিসলের অংশটুকু ঢেকে রাখে, এমন কাভার ব্যবহার করতে হবে। তবে ঢাকা অবস্থায়ও যাতে আলো বাতাস চলাচল করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।