ডিএমপি নিউজঃ টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সমন্বিতভাবে কাজ করার উপর গুরুত্বারোপ করে শেষ হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭। বিশেষত স্থানীয় পরিস্থিতি ও আবহাওয়া বিবেচনা করে উন্নয়ন কর্মকান্ড নির্ধারণ করার কথা বলেন দেশের বিভিন্ন দুর্যোগ প্রবণ এলাকা থেকে আগত জনপ্রতিনিধি, ভূক্তভোগী, কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা।
আজ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রথম জাতীয় কনভেনশন-২০১৭ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান জনপ্রতিনিধিরা। দুর্যোগ প্রবণ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, হাওর এলাকা ও পাহাড়ি এলাকা থেকে আগত পনেরশত এর বেশী লোক কনভেনশনে অংশগ্রহণ করেন।
কনভেনশনের প্রথম দিনে প্রথম দিনে উদ্বোধনের পর তিনটি কর্মশালা ও দুইটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। বজ্রপাতে প্রস্তুতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে করণীয়, ভূমিকম্পে প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাসে করণীয়, ভূমিধসঃ কারন চিহ্নিতকরণ ও করণীয় নির্ধারণ-এই তিনটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন, জেন্ডার এবং দুর্যোগ-এই দুইটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
কনভেনশনের দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের বন্যা ঝুঁকি মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থাপনা, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি ও ঝুঁকি হ্রাস এবং হাওর অঞ্চলে বন্যার কারন ও ভবিষ্যৎ করণীয়-এ তিনটি কর্মশালায় আক্রান্ত এলাকার জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া দুর্যোগ ও প্রতিবন্ধিতা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ-এ তিনটি সাইড ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
হাওরের উন্নয়ন প্রসঙ্গে নদীর পানি নিস্কাশনের সমস্যা দূরীকরণ, অপরিকল্পিত স্লুইচগেট অপসারন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের স্বচ্চতা আনয়ন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সাথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্তকরণ, সরকারের সকল উন্নয়ন বরাদ্দ শুকনো মৌশুমের পূর্বেই ছাড়করণ ইত্যাদির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে উপকূলীয় বেড়িবাঁধ উঁচুকরণ, আরও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, দুর্যোগকালে সমুদ্রে জেলেদের সাথে যোগাযোগের উন্নত মাধ্যম ব্যবহার, কমিউনিটি রেডিও চালুকরণ, সচেতনতা অনুষ্ঠান জোরদারকরণ, ইউনিয়ন পরিষদের সাথে উপকূলীয় স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপির সম্পর্ক নিবিড়করণ ও উপজেলা পর্যায়ে সিপিপির কার্যালয় স্থাপনের উপর গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।
বন্যা মোকাবিলা প্রসঙ্গে বলা হয়, বন্যা থেকে রক্ষার জন্য নির্মিত বাঁধ রক্ষনাবেক্ষন জনপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর, আশ্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো, বন্যাপ্রবণ এলাকায় মুজিব কিল্লা নির্মাণ, বন্যার পর রাস্তাঘাট দ্রুত নির্মাণ ও পুনর্বাসন সর্বোপরি বন্যা প্রতিরোধে সকলের করণীয় নির্ধারণ করে গাইডলাইন নির্মানের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু, কমিটির সদস্য মমতাজ বেগম এমপি, সফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি বক্তব্য রাখেন।
কর্মশালায় উপস্থাপিত সুপারিশ ও মতামতের আলোকে আগামীদিনের করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে সভাপতি উল্লেখ করেন। এমটি/০১