ডিএমপি নিউজঃ ‘ট্রাফিক আইন মেনে চলুন, ট্রাফিক পুলিশকে সহযোগিতা করুন, ট্রাফিক শৃংখলা একটি জাতির সভ্যতার প্রতীক’ এই শ্লোগানে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ৭ দিন ব্যাপী ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০১৮’।
আজ রবিবার (৫ আগস্ট’১৮) বেলা ১২টায় রাজধানীর গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ডিএমপি কর্তৃক আয়োজিত ‘ট্রাফিক সপ্তাহ-২০১৮’ এর শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ আসাদুজ্জামান খান এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার), ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএমসহ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধনকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে আজ থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহ একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের মধ্যে আইন মানার সাংস্কৃতি নেই । কেউ আইন মানতে চাইনা। ট্রাফিক সপ্তাহের মধ্য দিয়ে আমাদের আইন মানার সাংস্কৃতি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে সড়ক দূর্ঘটনা সারাদেশে ভয়ংকার রূপ নিয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ৯ টি দাবির মধ্যে ৭টি বাস্তবায়ন হয়েছে। বাকি দুইটি দাবি আইনগত হওয়ায় সোমবার কেবিনেট মিটিং এ বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আর এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ধানমন্ডির সহিংসতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হয়েছে। একজন অভিনেত্রী অভিনয় করে কেঁদে কেঁদে গুজব ছড়িয়েছে। যার কোন বাস্তবতা নেই।
শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরতে আহবান জানিয়ে ট্রাফিক সপ্তাহ সফল করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আইজিপি তাঁর বক্তব্যে বলেন, পুলিশ সপ্তাহের মত প্রতি বছর আমরা ট্রাফিক সপ্তাহ পালন করে থাকি। এর ধারাবাহিকতায় সরকারের নির্দেশে আজ থেকে ৭ দিন ট্রাফিক সপ্তাহ পালন হবে। সাধারণ মানুষকে ট্রাফিক আইন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতন করতে ট্রাফিক সপ্তাহের মুল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশে চলাচলের জন্য যতটুকু রাস্তার প্রয়োজন ততটুকু রাস্তা নেই। একটি দেশের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু থাকে ৪টি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন- ট্রাফিক এ্যাডুকেশন, ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক ইনভার্মেন্ট ও ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট। যা আমাদের দেশে সঠিকভাবে নেই। সবাই পুলিশকে নিয়ে কথা বলে! ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা পুলিশ শুধু ট্রাফিক ইনফোর্সমেন্ট করে থাকে।
ট্রাফিক সপ্তাহে সকলকে স্বাগত জানিয়ে কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ রোভার স্কাউট ও গার্লস গাইড ট্রাফিক পুলিশের সাথে ট্রাফিক সপ্তাহে কাজ করবে। সরকারের নির্দেশে আজ থেকে সারাদেশে ৭ দিন ব্যাপী (৫ আগস্ট থেকে ১১ আগস্ট) ট্রাফিক সপ্তাহ চলবে। ঢাকা শহরে যানজট বড় সমস্যা। আমাদের অনেক সমস্যা, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে। আইন না মানার মানুষিকতা আমাদের প্রধান সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানে আসুন আমরা সবাই ট্রাফিক আইন মেনে চলি এবং অন্যকে ট্রাফিক আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করি।
তিনি আরো বলেন, ট্রাফিক সপ্তাহে কেউ যদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা না করে রাস্তা ব্লক করে জনদুর্ভোগ ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করার চেষ্টা করে তা অনেক দুঃখজনক। আমরা চাই সকলের সহযোগিতা নিয়ে সুন্দর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন করতে। ফিটনেস, রুট পারমিট, রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স ব্যাতীত কোন গাড়ি রাস্তায় চলতে দেয়া হবে না। আইন প্রয়োগে আমরা কঠোর হবো, ব্যবহারে হবো নম্র। ট্রাফিক আইন লঙ্গন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এই ট্রাফিক সপ্তাহ থেকে আমাদের ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আরো বেগবান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।