প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ঘটনা তদন্তে কোনো প্রকারের তথ্য দিতে রাজী হননি। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গে তদন্তের অংশ হিসেবে তার কাছে তথ্য চেয়েছে দুইটি কংগ্রেসনাল প্যানেল।
ক্রেমলিনের সঙ্গে তার কোনো প্রকারের যোগাযোগ হয়েছিল কিনা সেই বিষয়ে তথ্য ও প্রমাণ দিতেও তাগিদ দেয়া হয়েছে কোহেনকে। তবে, এসব তথ্যের কোনোটাই দিতে সম্মত হননি তিনি।
ট্রাম্পের আইনজীবী মাইকেল কোহেন মার্কিন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, কংগ্রেশনাল দুটো প্যানেল থেকে তার কাছে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে কোনো প্রকারের কোনো যোগাযোগ হয়েছে কিনা সেই ‘তথ্য ও প্রমাণ সরবরাহ’ করতে তাকে তাগাদা দেয়া হয়েছে। তবে, ‘‘তথ্য ও প্রমাণ’ সরবরাহেরই বিষয়ে তিনি সম্মত হননি।
‘বিষয়টি অনেক বিস্তৃত, আর তাই উত্তর দিতে আমি প্রস্তুত নই’ উল্লেখ করে তথ্য সরবরাহ করা থেকে বিরত থেকেছেন কোহেন।
কোহেন হচ্ছেন ট্রাম্পের সহযোগীদের মধ্যে সর্বশেষ ব্যক্তি যিনি ‘হাউস’ ও ‘সিনেট’ যে তদন্ত করছে সেখানে তথ্য সরবরাহ করতে অসম্মতি জানিয়েছেন। এছাড়া ট্রাম্পের মেয়ের জামাতা জেরার্ড কুশনারের নাম গত সপ্তাহে ‘রাশিয়া প্রোব’ নামে বিখ্যাত এক রুশ পত্রিকায় এসেছে। এই নিয়েও চলছে একটা গুঞ্জন।
তারও আগে থেকেই মার্কিন গণমাধ্যমে নানাভাবে বলা হচ্ছে যে, গত ডিসেম্বরে কুশনার রাশিয়ার সঙ্গে পেছনের পথে বা গোপন পন্থায় ওয়াশিংটনের যোগাযোগ করিয়েছিলেন। তবে কুশনার গোপনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন কিনা এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেননি হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সন স্পাইসার। বিবিসি।