মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ দুই উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন ও রেইন্স প্রিবাসকে বরখাস্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করছেন বলে অসমর্থিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ট্রাম্পের জ্যেষ্ঠ এক সহযোগী বলেন, এমনটি ঘটতে চলেছে, কিন্তু এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তের বিষয়টি ‘অস্পষ্ট’। শীর্ষ দুই উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করা নিয়ে স্নায়ু উত্তেজনা বিরাজ করছে বলেও জানান তিনি। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের।
শুক্রবার এক্সিওস সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রধান কৌশলবিদ (চিফ স্ট্রাটেজিস্ট) ব্যানন এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ প্রিবাসকে বরখাস্তের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছেন। তবে কখন তাদের বরখাস্ত করা হবে বা ট্রাম্প আদৌ তাদের পদচ্যুত করবেন কিনা সে ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি পান ব্যানন। কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাননকে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের (এনএসসি) প্রধান কমিটিতে বসিয়ে সেই ঘনিষ্ঠতার প্রমাণ দেন ট্রাম্প। তবে চলতি সপ্তাহে ব্যাননকে এনএসসির কমিটি থেকে সরানো হয়েছে। পররাষ্ট্রনীতিতে অনভিজ্ঞ থাকা সত্ত্বেও এনএসসির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি।
এক্সিওসের প্রতিবেদনে বলা হয়, হঠাৎ করেই তাকে ওই পদ থেকে সরানোর ফলে ভবিষ্যতে মার্কিন প্রশাসনে তাকে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। সিরিয়ার বিমান ঘাঁটিতে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে ট্রাম্প টিমে ব্যাননের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান প্রিবাসকে সরানোর বিষয়েও গুজব উঠেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে এক অসমর্থিত খবরে বলা হয়, সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের বরখাস্ত হওয়ার পর এখন প্রিবাসের পদ নিয়ে টানাহেঁচড়া হতে পারে। তখন ব্যাননই তার পক্ষ নিয়ে বলেন, ‘প্রিবাস খুব ভাল কাজ করছেন।’ ব্যানন ও প্রিবাসের পরিবর্তে কারা ট্রাম্পের প্রধান কৌশলবিদ এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ পদে বসতে যাচ্ছেন তা নিশ্চিত করেনি এক্সিওস। তবে শীর্ষ এ দুই পদে কংগ্রেসের হাউস মেজোরিটি নেতা কেভিন ম্যাককার্থি এবং ট্রাম্পের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা গ্রেই কোহেনকে বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।