প্রথম বিদেশ সফরে সৌদি আরব যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল শুক্রবার সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে তার। তার এই সফর পদ বাঁচানোর শেষ সুযোগ বলেও মনে করছেন মার্কিন বিশ্লেষকরা। অনেক বলছেন, এটা তার বাঁচা-মরার লড়াই। সফর সফল হলে দেশের অভ্যন্তরে সমালোচনা কিছুটা হলেও কমবে।
সিএনএন জানায়, এই সফরে ইসরাইল, বেলজিয়াম ও ইতালিতেও যাবেন তিনি। এদিকে ন্যাটোর প্রতি পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করার চাপে আছেন ট্রাম্প। । রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজস নিয়ে দেশের ভেতর দারুন চাপে আছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
প্রথম বিদেশ সফরে তিনি যদি সফল হতে পারেন তাহলে রাশিয়া ইস্যুতে তার বিরুদ্ধে চলমান সমালোচনা কিছুটা হলেও কাটিয়ে উঠতে পারবেন। চলতি সপ্তাহটা তার জন্য বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে গেছে যা আগের প্রেসিডেন্টদের ক্ষেত্রে এই সময়ে ঘটেনি। ইতোমধ্যেই তার নির্বাচনী প্রচারণা দলের সঙ্গে রাশিয়ার কোনো যোগসাজস আছে কিনা তা নিয়ে একজন বিশেষ কৌসুলি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর বরাখস্ত হওয়া এফবিআই প্রধান জেমস কোমি আগামী সপ্তাহে প্রকাশ্যে আসতে পারেন যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য আরো অস্বস্তিকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসন প্রথম বিদেশ সফর সফল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। প্রশাসনের অনেকেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সুনজর থেকে দূরে সরে গেছেন। তাদের অনেকেই চেষ্টা করছেন, এই সফরটা সুন্দর ও সফল করে প্রেসিডেন্টের কাছে আসার চেষ্টা করতে। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অ্যান্থনি কর্ডেসম্যান বলেন, দেশের বাইরে সবার মধ্যে একটা প্রশ্ন জাগছে।
তাহলো কংগ্রেসে কী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাজনৈতিক শক্তি আছে? তার নিজ দলের ভেতরেই আছে চরম বিভক্তি। অনেকের মনে আবার প্রশ্ন আছে, তিনি দেশের স্বার্থ নিয়ে এগুচ্ছেন, না কি নিজের স্বার্থ নিয়ে কাজ করছেন?। কারন বেশিরভাগ প্রেসিডেন্টই প্রথম বিদেশ সফরে মেক্সিকো কিংবা কানাডা গেছেন। সেখানে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যকে বেছে নিয়েছেন।
অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার বিদেশি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা, শান্তি, মানবাধিকারের বিষয়টিতে জোর দিতে ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরব সফরে ইসলাম ধর্মের ওপর বক্তৃতা করবেন। এই সম্মেলনে ৫০ টি মুসলিম দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া সৌদি আরবের সঙ্গে অস্ত্র বিক্রির চুক্তিসহ বিভিন্ন চুক্তি হবে যা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বাড়াতে সহায়তা করবে।
আগামী বৃহস্পতিবার তিনি ব্রাসেলসে যাবেন যেখানে ন্যাটো মিত্রদের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে আস্থা তৈরি করতে পারেন। ন্যাটো মিত্রদের প্রতি মার্কিন আস্থা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর ইতোমধ্যেই একটা চাপ তৈরি হয়েছে।