আক্ষরিক অর্থেই ট্র্যাজিক হিরো হয়ে থেকে গেলেন মুশফিকুর রহিম৷ যখন ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন, বাংলাদেশ ১২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে৷ শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়া বাংলাদেশ ইনিংসকে নির্ভরতা দেন মুশফিকই৷ মহম্মদ মিঠুনকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটের জুটিতে ১৪৪ রান যোগ করেন৷
কিন্তু ব্যক্তিগত ৯৯ রানে পাকিস্তানের পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে সরফরাজ আহমেদের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে বিদায় নেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওয়ানডেতে সব মিলিয়ে ৯৯ রানে আউট হওয়া ৩০তম ব্যাটসম্যান মুশফিক। তার আগে আরও ২৯ জন ব্যাটসম্যান ১ রানের আপেক্ষ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
তবে ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হওয়ার ৩৩তম ঘটনা এটি। অর্থাৎ, একজন ব্যাটসম্যান একাধিকবার ৯৯ রানে আউট হয়েছে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রান করা কিংবদন্তির শচীন টেন্ডুলকার ৯৯ রানে থাকতে তিন-তিনবার আউট হয়েছেন। সেটিও এক বছরে। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৯ রানে আউট হয়েছেন ভারতের এই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। টেন্ডুলকারের মতো একই ভাগ্য দুবার বরণ করে নিতে হয়েছে সনাথ জয়াসুরিয়াকে।
পাকিস্তান এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো কোনো ব্যাটসম্যানকে ৯৯ রানে আউট করল। সেঞ্চুরি থেকে ১ রান দূরে থাকতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যকবার ব্যাটসম্যানকে আউট করার রেকর্ডটি যুগ্মভাবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের (৫বার)।
ওয়ানডেতে ৯৯ রানে আউট হয়েছেন যেসব ব্যাটসম্যান: শচীন টেন্ডুলকার (৩), সনাথ জয়াসুরিয়া (২), জিওফ্রে বয়কট, ক্রিস ব্রড, জস বাটলার, চামু চিবাবা, এবি ডি ভিলিয়ার্স, তিলকারত্মে দিলশান, রাহুল দ্রাবিড়, জেপি ডুমিনি, স্টিফেন ফ্লেমিং , অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফ, ক্রিস গেইল, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, অ্যালেক্স হেলস, ম্যাথু হেইডেন, রমেশ কালুভিতারানা, ল্যান্স ক্লুজনার, বিরাট কোহলি, অ্যালান ল্যাম্ব, ভিভিএস লক্ষ্মণ, এয়ুইন মরগান, কুশল পেরেরা, রমিজ রাজা, লুক রনকি, রোহিত শর্মা, গ্রায়েম স্মিথ, শ্রীকান্ত, পল স্টার্লিং এবং মুশফিকুর রহিম।