বিদেশ থেকে আমদানি খরচ মেটাতে দরকার হয় ডলারের। ডলার পৃথিবের শক্তিশালী অর্থের মধ্যে অন্যতম। ইরান এখন থেকে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ ডলারের পরিবর্তে ইউরোতে গড়ে তুলবে।
গত বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়, তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ডলারে নির্ভরতা কাটাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে ইরান সরকার। নতুন এ ঘোষণার ফলে সরকারি সংস্থাগুলোর পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাও ডলারের পরিবর্তে ইউরো ব্যবহারে উৎসাহী হবে।
ইরানের জন্য বর্তমানে ডলারে ব্যাংকিং লেনদেন অনেক কঠিন, কারণ আইনগত ঝুঁকির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলো তেহরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে আগ্রহী নয়। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়বে যদি তারা ইরানের সঙ্গে ডলারে চুক্তি করে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকিতে ইরানের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়। গত সেপ্টেম্বর থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত ইরানি মুদ্রা রিয়াল ডলারের বিপরীতে তার অর্ধেক মূল্যমান হারিয়েছে। রয়টার্স।
ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর ভালিউল্লাহ সাইফ গত সপ্তাহে বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যে ডলারের স্থলে ইউরো গ্রহণের তাঁর পরামর্শকে স্বাগত জানিয়েছেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি বলেন, এখন আমাদের লেনদেনে ডলারের কোনো স্থান নেই।
দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই লেনদেনে ডলার থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করে আসছিল ইরান। যদিও এখনো দেশটির বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক লেনদেন ডলারে হয়ে থাকে। এবং সাধারণ ইরানিরা তাদের ভ্রমণ এবং সঞ্চয়ে ডলার ব্যবহার করে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইরানের সঙ্গে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়। ট্রাম্প হুমকি দেন ইরানের সঙ্গে বিশ্বসম্প্রদায় ২০১৫ সালে যে পরমাণু চুক্তি করেছে তা থেকে তিনি বেরিয়ে আসবেন।