সেঞ্চুরিয়নে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানকে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১৩ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জয়ের সুবাদে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। বৃষ্টি আইন অনুসারে ৩৩ ওভারে জয়ের জন্য ১৭৫ রান প্রয়োজন ছিল স্বাগতিকদের। ততক্ষণে দুই উইকেট ১৮৭ রান তুলে ফেলেছে প্রোটিয়ারা।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেয় সরফরাজ আহমেদের দল। ওপেনার ইমাম-উল হকের পঞ্চম ওয়ানডে সেঞ্চুরি বড় স্কোর এনে দেয় সফরকারীদের। ১১৬ বলে আটটি চারে ১০১ রান করে আউট হন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে পাকিস্তানের বড় রান গড়ার কারিগর তিনি একা নন। ওয়ানডাউনে বাবর আজম ৬৯ ও অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ দ্রুত ৫২ রান করেন। এরপর শোয়েব মালিক ৩১ রান করে আউট হলেও ইমাদ ওয়াসিম মাত্র ২৩ বলে ৪৩ রান করলে ছয় উইকেটে ৩১৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দল।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে প্রোটিয়ারা। হাশিম আমলাকে আউট করে ৯.২ ওভারে ৫৩ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন হাসান আলি। দলীয় ৭৯ রানে আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কককে রানআউট করেন শাদাব খান। কিন্তু পাকিস্তানের ম্যাচ জয়ের আশায় বাঁধা হয়ে ম্যাচের ১৭ তম ওভারে বৃষ্টি হানা দেয়। প্রায় এক ঘণ্টা বিরতির পর মাঠ উপযুক্ত হলে আবার শুরু হয় খেলা। কিন্তু ২৯তম ওভারে পুনরায় বৃষ্টি নামে। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে বৃষ্টিপাত বেড়ে গেলে দুই আম্পায়ার খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জয়ের স্কোর থেকে তখন ১৩ রানে এগিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রোটিয়াদের পক্ষে রিজা হ্যানড্রিকস অপরাজিত ৮৩ ও অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি ৪০ রানে নটআউট ছিলেন। বেরসিক বৃষ্টি আর তৃতীয় উইকেট জুটিতে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ১০৮ রানের জুটিতে পরাজয়ের হতাশা নিয়েমাঠ ছাড়তে হয় পাকিস্তানকে।