ডিএমপি নিউজঃ ডাকাতদের পৃষ্ঠপোষক জাকির হোসেনসহ চারজন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত অন্য তিনজন ডাকাত হলো- মোঃ সবুজ, মোঃ ওমর ও মোঃ ওসমান গনি স্বপন।
সোমবার (২০ জুন ২০২২) রাত ০৮:৩০ টায় গাজীপুরের টঙ্গী নোয়াগাঁও এলাকার তিস্তা গেইটের আনোয়ার সিলিং এবং পপুলার ঔষধ ফ্যাক্টরির সামনে জাকিরের ভাঙ্গারির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত থেকে ডাকাতি হওয়া ১টি স্বর্ণের চেইন, নগদ ১৪ হাজার টাকা, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ১ টি লোহার তৈরি চাপাতি, ২টি সেলাই রেঞ্জ, ১ টি স্ক্রু ড্রাইভার ও ১ টি চাকু উদ্ধার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২২ জুন ২০২২) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) এ কে এম হাফিজ আক্তার, বিপিএম(বার)।
ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গত এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরখানের ভাটুলিয়া এলাকার একটি বাসায় পাঁচজন ডাকাত গ্রিল কেটে ঢুকে পরিবারের সকলকে অস্ত্রের ভয়ে জিম্মি করে নগদ তিন লক্ষাধিক টাকা, স্বর্ণালংকাসহ মোট আট লক্ষাধিক টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন বাসার মালিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ডিএমপির উত্তরখান থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ডিবি উত্তরা বিভাগের বিমান বন্দর জোনাল টিমকে। টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কায়সার রিজভী কোরায়েশী ডাকাতির ঘটনা ও আশপাশের চিত্র নিবিড়ভাবে বিশ্লেষণ করতে থাকেন।
তিনি বলেন, ডাকাতির এ ঘটনায় ডাকাতরা কোন প্রযুক্তিগত ডিভাইস ব্যবহার না করায় ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে প্রথম থেকে অনেকটা বেগ পেতে হয়। কিন্তু গোয়েন্দা তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এক পর্যায়ে ডাকাতির ঘটনার সাথে একটি গ্রুপকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তী সময়ে সোমবার টঙ্গী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়।
ডিবি প্রধান বলেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে জাকির হোসেন ডাকাতদের লালন-পালনকারী। তার নির্দেশেই অন্যরা ডাকাতি করে থাকে। ডাকাতির পর সকল অর্থ ও মালামাল জাকির নিয়ে নেয়। বিনিময়ে সে তাদের পরিবারের দেখা-শুনা ও মাদকের টাকা সরবরাহ করে থাকে।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ইতোপূর্বে অসংখ্য ডাকাতি ও চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।
গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী শফিকুল আলম, বিপিএম-সেবা এর নির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার আছমা আরা জাহান এর তত্ত্বাবধানে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ কায়সার রিজভী কোরায়েশী, পিপিএম-সেবা এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।