ডাবের পানি হলো কচি ডাবের ভেতরকার রস। ডাব পেকে নারিকেল হবার সাথে সাথে ডাবের পানি কমে যায়, আর তার জায়গায় নারিকেলের শাঁস ভেতরে জমা হয়। একেবারে কচি ডাবের ভিতরে অল্প পরিমাণে শাঁস থাকে। নিরক্ষীয় অঞ্চলে পানীয় হিসাবে ডাবের পানি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এতে অনেক উপকারতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেই ডাবের পানির উপকারিতা সমূহ:
ওজন কামায়:
ওজন কমাতেও ডাবের পানি চমৎকার কাজ করে। এতে কোনো চর্বি বা কোলেস্টেরল নেই। তাই যত খুশি পান করতে পারেন। এছাড়াও ডাবের পানি চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণে খনিজ উপাদান থাকার জন্য বাড়ন্ত শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবার জন্য ডাবের পানি যথেষ্ট উপকারী। তারুণ্য ধরে রাখতে ডাবের পানি যথেষ্ট উপযোগী। এতে চিনির পরিমাণও অল্প।
ত্বক সুন্দর করে:
ত্বকের জন্য ডাবের পানি খুবই উপকারী । একটি ডাবে মোট পানির পরিমাণ প্রায় ৯৪ শতাংশ। তাই ত্বকের সৌন্দর্য রক্ষায়, পুরো দেহের শিরা-উপশিরায় সঠিকভাবে রক্ত চলতে সাহায্য করে। কারণ, পানি বেশি পান করলে কিডনির কাজ করতে সুবিধা হয়, দেহে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বাড়ে, ত্বকসহ প্রতিটি অঙ্গে পৌঁছায় বিশুদ্ধ রক্ত। ফলে পুরো দেহ হয়ে ওঠে সতেজ ও শক্তিশালী।
ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করে:
ডাবের পানির মধ্যে এমন কিছু উপাদান আছে যা ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস মারতে বেশ কার্যকরী। এ কারণে খাবারসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রত্যেক দিন যেসব ব্যকটেরিয়া ও ভাইরাস আমাদের পেটে প্রবেশ করে সেগুলো মারার জন্য এক গ্লাস ডাবের পানি খাওয়া যেতেই পারে।
উন্নত পুষ্টিগুণ:
ডাবের পানিতে আছে প্রচুর পরিমাণে রিবোফ্লেবিন, নিয়াসিন, থায়ামিন পেরিডক্সিসহ বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান। এছাড়া ডাবের পানিতে অ্যান্টি ভাইরাল এবং অ্যান্টি ব্যকটেরিয়াল উপাদান আছে। যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাসের আক্রমণ থেকে শরীরকে রক্ষা করে।
হজম সমস্যা সমাধান করে:
ডাবের পানি পান করলে হজম শক্তি বাড়ে ও বদহজম দূর হয় । ডাবের পানি বদহজম , গ্যাসট্রিক , আলসার , কোলাইটিস , ডিসেন্ট্রি এবং পাইলসের সমস্যায় দূরীকরণে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে :
ডাবের পানির প্রাকৃতিক পুষ্টিগুণ শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদঝুঁকি কমায়। পাশাপাশি অন্যান্য কার্ডিওভাসকুলার বিষয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া ডাবের পানি শরীরের ভেতরে অতিরিক্ত সুগার লেভেলকে নিয়ন্ত্রণ রাখে।
এছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য পুষ্টি। এতে পটাশিয়াম আছে প্রচুর পরিমাণে। বমি হলে মানুষের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কমে যায়। ডাবের পানি পূরণ করে এই ঘাটতি। তাই অতিরিক্ত গরম, ডায়রিয়া, বমির জন্য উৎকৃষ্ট পানীয় ডাবের পানি।