ডিএমপি নিউজঃ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক প্রতারককে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তির নাম- মোঃ জাকির হোসেন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চর রাজবাড়ী গ্রামে বলে একটি সূত্র থেকে জানা যায়।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখার সহযোগিতায় প্রতারকের তথ্য সংগ্রহ করে গতকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা জেলার ডিবি পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, প্রতারক জাকির হোসেন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি’১৭ তারিখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের পুলিশ সদস্য সজলকে একটি মোবাইল থেকে ফোন করে ডিআইজি মাহবুব পরিচয় দিয়ে তার ব্যক্তিগত তথ্যসহ মোবাইল নাম্বার জানতে চায়। সজল তখন তাকে স্যার সম্বোধন করে সব তথ্য জানায়।
পরবর্তীতে সজল তার বাড়িতে যোগাযোগ করে জানতে পারে ঐ প্রতারক বাড়িতে তার বড় ভাইকে ফোন করে তার ব্যাচমেট পরিচয় দিয়ে জানায় যে, সজল মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। তাকে বাঁচাতে চিকিৎসার জন্য দ্রুত টাকার প্রয়োজন। সে আরো বলে সজলকে বাঁচাতে বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাতে হবে। সজলের ভাই দ্রুত প্রতারকের দেয়া বিকাশ নাম্বারে ১৫,৩০০ টাকা পাঠায়।
প্রতারিত হয়েছে বুঝতে পারার পর সজলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছিল।
এছাড়াও প্রতারক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে প্রতারণার ও চাঁদাবাজির জন্য গাইবান্ধা সদর থানায় ২০১৬ সালের ০৩ এপ্রিল মামলা রুজু হয়েছিল।
প্রতারক জাকির হোসেন বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধ্বতন অফিসারদের নাম মোবাইলে সার্চ দিয়ে বের করে তার টার্গেট মতো অফিসারদের নাম সিলেক্ট করে সেই অফিসারদের নাম ও পদবী ব্যবহার করে টার্গেট করা ব্যাক্তির আত্মীয়-স্বজনের মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। অতঃপর টার্গেট ব্যাক্তির মোবাইল নাম্বারটি প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্লক করে টার্গেটকৃত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। পরবর্তীতে সে টার্গেটকৃত ব্যাক্তির পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে বিভিন্ন দুঃসংবাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। তার এ কাজে তার আরো অন্যান্য সহযোগীরা তাকে সাহায্য করত।