ডিএমপি নিউজঃ গত ২২ মার্চ, ২০১৭ রাতের দিকে বিমানবন্দর থানার বেড়িবাঁধ ভিভিআইপি রোডের পূর্ব পাশে খিলক্ষেত টানপাড়া ইটের ওয়াল সংলগ্ন ড্রেনের পাশে ফাঁকা জায়গা হতে বস্তাবন্দি একজন যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশটি ছিল বিবস্ত্র, মস্তক বিহীন ও গামছা দিয়ে হাত-পা বাঁধা ।
এ সংক্রান্তে ঐ দিন বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে পুলিশ। একই সাথে ভিকটিমের ময়না তদন্তের মাধ্যমে তার ডিএনএ ও ফরেনসিক এভিডেন্স সংগ্রহ করে পুলিশ।
মামলাটি তদন্ত শুরু করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। ভিকটিমের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করে এনআইডি কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ভিকটিমের পরিচয় বের করে পুলিশ। জানা যায় তার নাম কুলসুম আক্তার (২৮)। সে পল্লবী থানার মিরপুর-১২ এর ইলিয়াছ মোল্লার বস্তি এলাকায় বসবাস করত। ভিকটিমের পরিচয় পাওয়ার পর তার নিকট আত্মীয়দের খোঁজে বের করে পুলিশ।
তারপর বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্তের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে পল্লবী থেকে এনামুল হককে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী থানা এলাকায়। বর্তমানে সে পল্লবীর ০৫ নং রোড এলাকায় বসবাস করত। গ্রেফতারের পর তার ডিএনএ’র সাথে পূর্বে ভিকটিমের কাছ থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে করে দেখা যায় যে, ভিকটিমের ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে তা সম্পূর্ণভাবে মিলে যায়। এতে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয় যে সেই ভিকটিমের হত্যাকারী।
বিমানবন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ এজাজ শফী ডিএমপি নিউজকে জানান, ভিকটিম কুলসুম আক্তার তার স্বামীর কাছ থেকে আলাদা থাকতো। সেই সুবাদে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকার এনামুল হকের সাথে। পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে তারা দুজনে। এনামুলের পাশাপাশি আরো একজনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে কুলসুমের। বিষয়টি জেনে ফেলে এনামুল। আরেক জনের সাথে সম্পর্কের বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সে। সে কুলসুমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যা করে উল্লেখিত স্থানে ফেলে রেখে চলে যায়।