ডিএমপি নিউজঃ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বল্পমূল্যে উন্নত চোখের চিকিৎসা সেবা দেবে প্রাইম ব্যাংক আই হাসপাতাল।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে ১৩ জুন’১৭ বিকাল ৩ টায় ডিএমপি ও প্রাইম ব্যাংক আই হাসপাতালের সাথে পুলিশ সদস্যদের স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এক এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।
এ চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম, প্রাইম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ কামাল খান চৌধুরী ও প্রাইম ব্যাংক আই হাসপাতালের সিইও ডাঃ ইকবাল আনোয়ারসহ ডিএমপি ও প্রাইম ব্যাংকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
আহমেদ কামাল খান চৌধুরী বলেন- আমরা আপনাদের পেশাকে সম্মান করি। প্রতি বছর প্রাইম ব্যাংক তার লভাংশ্যের ৪ শতাংশ প্রাইম ব্যাংক ফাইন্ডেশনে দিয়ে থাকে। এই ফাইন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা সেবা ও শিক্ষা সহায়তামুলক বৃত্তি দিয়ে থাকি। আজ আমরা আনন্দিত আপনাদের স্বল্পমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবা দেয়ার লক্ষ্যে একটি এমওইউ স্বাক্ষরিত করতে পেরে।
ডাঃ ইকবাল আনোয়ার বলেন- ডিএমপি সর্বদা আমাদের সেবাই নিয়োজিত। আজ আমরা তাদের সেবা দিতে যাচ্ছি বলে আনন্দিত। আমাদের আই হাসপাতাল থেকে আপনাদের সঠিক ও উন্নত মানের চিকিৎসা অন্যান্য হাসপাতাল থেকে ৩০-৪০ শতাংশ কম খরচে দিতে পারবো।
সুবিধার মধ্যে থাকছে, ডিএমপি’র সদস্য ও তাদের পরিবারকে যেকোন সার্জারীতে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ ও ডায়াগলষ্টিক টেস্টে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টসহ অন্যান্য বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন- ফোর্সের কল্যাণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। প্রাইম ব্যাংক আই হাসাপাতালের সাথে আজ স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি করতে যাচ্ছি বলে আমরা আনন্দিত। এই চুক্তির মাধ্যমে একে অপরের কাছে আসার মেলবন্ধন তৈরি হবে। সাম্প্রতিককালে আমাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রাইম ব্যাংকে কাছে পেয়েছি। তাদের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ইতোমধ্যে প্রাইম ব্যাংক আমাদের পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের মৃতদেহ বহনের জন্য একটি আধুনিক ফ্রিজার ভ্যান দিয়েছে।
তিনি বলেন- এই চুক্তির মাধ্যমে ডিএমপি নতুন অধ্যায় শুরু করলো। আমরা বিশ্বাস করি শুধু ক্ষমতা ও লাঠির জোর দিয়ে নয় আমাদের সেবার মানই পারে জনগণের সাথে আমাদের একসূত্রে গাঁথতে। জনগণের সাথে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ চুক্তির ফলে কে আর্থিক লাভবান হলো সেটা বড় কথা নয়? এর মাধ্যমে দুইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সম্পর্কের মেলবন্ধন তৈরি হলো।