মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ’র বিভিন্ন ইউনিট রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিগত তিন মাসের অভিযানে ১০ লাখ ৪০ হাজার ২৪১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে। এছাড়াও ১৬ হাজার ৩১৪ বোতল ফেনসিডিল, ৫০৫ কেজি গাঁজা, ২৬৬ কেজি ১৬.৭৫ গ্রাম হেরোইন ও ৩৬৮৯ পিস এ্যাম্পুল ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে। এই সব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৮৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই সংক্রান্ত মাদক আইনে ৩৩৫২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৪ মার্চ, ২০১৮ সিটিটিসি’র একটি দল রাজধানীর শাহবাগ আজিজ কো-অপারেটিভ সুপার মার্কেটের ৩ নং গেইটের সামনে অভিযান চালিয়ে দইয়ের বাটি থেকে ৩০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। আর এই ঘটনায় আরশাদ উল্লাহ, মোঃ রফিক, হোসেন বেপারী নামে তিনজনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের কাউণ্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম এর স্পেশাল এ্যাকশন গ্রুপের সদস্যরা গত ৬ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় নিউমার্কেটের পেছনের রাস্তা থেকে মোঃ শফিক ও আব্দুর রহিম নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে। সেই তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করা হয় । তারা ভ্যানগাড়ীর উপর কর্ক শিটের বাক্সের মধ্যে বিশেষ ভাবে লুকিয়ে ইয়াবা বহন করছিল। ওই চক্র মাছ ব্যবসার আড়ালে টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে রাজধানীর মাদক স্পট গুলোতে সরবরাহ করত।
গত ১৬ এপ্রিল সোমবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণ কমলাপুর এলাকা থেকে একটি প্রাইভেটকারসহ মোঃ জামিল হোসেন ও মাসুদ তালুকদার নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ব্যবহৃত ওই প্রাইভেটকার হতে ২ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে ডিএমপি’র কাউণ্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট। তারা কুয়াকাটা হতে ইয়াবা ট্যাবলেট সংগ্রহ করে ঢাকায় বিক্রি করত।
এদিকে ২৪ এপ্রিল, ২০১৮ গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর বিভাগের একটি দল রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান চালিয়ে আড়াই মন (১০০ কেজি) গাঁজা উদ্ধার করে। ওই গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় আজিজুল হক ওরফে বাবু নামে এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়। সে জানিয়েছিল, তার সহযোগীদের নিয়ে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করত।
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স নীতি অনুসরণ করে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে। গোয়েন্দা পুলিশ ছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও থানা পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য ইউনিট মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করেছে।