ডিএমপি নিউজঃ নিজেকে ডিজিএফআই এর সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে এসেছিলেন মিরপুরের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বদলী তদবীর করতে। তার দেওয়া পরিচয়ে বদলীর তদবির রাজী না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর পরিচালককে (প্রশাসন) বিভিন্ন সময়ে মোবাইল করে জোড়াজুরি করতে থাকেন। তাতেও কাজ না হলে আবারও স্বশরীরে আসেন পরিচালক (প্রশাসন) এর অফিসে এসে তদবীর করায় মোঃ শাহিনুল ইসলাম নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
ঘটনা সম্পর্কে মিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাজিরুর রহমান ডিএমপি নিউজকে বলেন, গত ১৬ জুন ২০২০ তারিখ সকাল ১১:০০ টায় মিরপুর মডেল থানার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এর অফিস কক্ষে প্রবেশ করে ধৃত মোঃ শাহিনুল ইসলাম নিজেকে ডি.জি.এফ.আই এর সহকারী পরিচালক পরিচয় দিয়ে বদলীর তদবীর করতে চিরকুট দেন। পরিচালক (প্রশাসন) তাকে বিধি মোতাবেক কার্যক্রম চলছে এবং চলবে বলে জানান। এরপর বিভিন্ন সময় গ্রেফতারকৃত শাহিনুল পরিচালক (প্রশাসন) কে ফোন করে বদলীর বিষয়ে জোরাজুরি করেন। সেই সময় পরিচালক (প্রশাসন) তাকে সীমা-লঙ্ঘন করতে নিষেধ করেন এবং অফিসিয়াল বিষয় অযাচিত ফোন না করার জন্য বলেন। এমন কথার পরেও মোঃ শাহিনুল ইসলাম ১০/০৮/২০২০ তারিখ সকাল আনুমানিক ১০:৫০ টায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পরিচালক (প্রশাসন) মহোদয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে পূনরায় নিজেকে ডি.জি.এফ.আই এর সহকারী পরিচালক পরিচয় দেন। তখন পরিচালক (প্রশাসন) শাহিনুলকে ডি.জি.এফ.আই এর আইডি কার্ড দেখাইতে বললে সে আইডি কার্ড দেখাতে না পারায় সন্দেহ হয়। এরপর পরিচালক (প্রশাসন) ডি.জি.এফ.আই অধিদপ্তরে খোঁজখবর নিয়া জানতে পারেন যে, শাহিনুল ইসলাম নামের কোন ব্যক্তি ডি.জি.এফ.আই এর সহকারী পরিচালক পদে নাই। অতঃপর মিরপুর মডেল থানায় খবর দিলে টহল টিম ঘটনাস্থলে যেয়ে মোঃ শাহিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। এসময় বদলীর তদবীরের চিরকুট, জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি স্যামসাং মোবাইল সেট, বদলী সংক্রান্ত আবেদনপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত শাহিনুল জানায়, সে একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সার্জেন্ট। গত ২০০৮ সালে র্যাব-১২ হতে অবসর গ্রহন করেছেন।
এ সংক্রান্তে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।