সারাদেশের কৃষকের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ৩ কোটি কৃষককে এই ডাটাবেজের আওতায় আনা হবে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘প্রত্যেক কৃষকের দোরগোড়ায় কৃষিসেবা সহজে পৌঁছে দিতে ‘কৃষি বাতায়ন’ তৈরি করা হচ্ছে। কৃষি বাতায়নে সারাদেশের কৃষকের ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৬৫ লাখ কৃষকের ডাটা এখানে সন্নিবেশিত হয়েছে।’
কৃষক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ সংগঠনের নেতাকর্মী ও কৃষক সমাজসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা স্বাধীনতার পর পরই কৃষি খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সরকার কৃষকদের কল্যাণে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে কৃষিক্ষেত্রে অবদানের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার’ প্রবর্তন করেন।
কৃষক লীগের নেতা-কর্মীরা কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আরো বেশি আত্মনিয়োগ করে বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবেন বলে প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন।