ডিএমপি নিউজ : স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে এ রোগ বিস্তারের ব্যাপারে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা বাড়লেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের সংখ্যা খুব বেশি নয়। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।’
‘এডিস মশা নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে মর্মে বলেন মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বাসা-বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিচ্ছন্ন ও শুষ্ক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, বাড়ির ও তৎসংলগ্ন এলাকায় জমে থাকা পানিতে এই মশার বংশ বিস্তার ঘটে। বোতল, বালতি, পরিত্যক্ত টায়ার ও অন্যান্য জিনিসে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা জন্ম নেয়। আমাদেরকে এসব জিনিস পরিষ্কার রাখতে হবে।
ইপিডেমিওলজি ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)-এর পরিচালক জানান, তারা দেশের সকল হাসপাতালের প্রতি ডেঙ্গুর ব্যাপারে দৈনিক প্রতিবেদন পাঠানো এবং এই রোগের কারণ লক্ষণ ও এর প্রতিরোধের উপায় নিয়ে লোকদের সচেতন করে তোলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আইইডিসিআর-এর পরিচালক আরো জানান, ডিজিএইচএস-এর রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহযোগে আইইডিআরসি ঘনিষ্ঠভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং তারা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
আইইডিসিআর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনকে তাদের মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার এবং এই মহানগরী পরিচ্ছন্ন রাখতে মশার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাইদ খোকন বলেন, বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ সামান্য বাড়লেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
তিনি নগরবাসীর প্রতি আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ডে মশা নিধনে একযোগে ক্রাশ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।