বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) ডেনমার্ক থেকে চারটি কন্টেইনার জাহাজ পেতে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ডেনমার্ক তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিজ উইনি এস্ট্রাপ পিটারসেন আজ মঙ্গলবার নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি’র সাথে তার সচিবালয় অফিস কক্ষে সাক্ষাতকালে এ আগ্রহের কথা জানান।
এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ, বিএসসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর ইয়াহইয়া সৈয়দ উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ৬ মাসের মধ্যে এ বিষয়ে সমঝোতা স্মারকপত্র (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘এমওইউ’ স্বাক্ষরের ৩ বছরে মধ্যে জাহাজগুলো পাওয়া যাবে। চারটি জাহাজ নির্মাণে ১০০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় হবে। ২৫ বছর মেয়াদে এক দশমিক ৮ শতাংশ সফটলোনে জাহাজগুলো পাওয়া যাবে। প্রতিটি জাহাজ ১৫০০টি কন্টেইনার (২০ ফুটের কন্টেইনার) বহন করতে পারবে। জাহাজগুলো চট্টগ্রাম-কলম্বো এবং চট্টগ্রাম-সিঙ্গাপুর ফিডার রুটে চলাচল করবে।
বিএসসি-কে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করার লক্ষ্যে (২০১১-মার্চ২০১৯) সময়ে ১,৫৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চীন থেকে ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে চীন আর্থিক সহায়তা দিয়েছে এক হাজার কোটি টাকা, বাকি টাকা বাংলাদেশ সরকারের।
এছাড়া চীন থেকে বিএসসি’র বহরে আরো ছয়টি জাহাজ সংগ্রহ করা হবে। এজন্য প্রাথমিকভাবে এর ব্যয় ধরা হয়েছে ২ দশমিক ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। একনেকে এর অনুমোদন পাওয়া গেছে।
সংগৃহিত জাহাজগুলো হলোঃ এম.ভি বাংলার জয়যাত্রা, এম.ভি বাংলার সমৃদ্ধি, এম.ভি বাংলার অর্জন, এম.টি বাংলার অগ্রযাত্রা, এম.টি বাংলার অগ্রদূত এবং এমটি বাংলার অগ্রগতি।
কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ যাবত সর্বমোট ৩৮টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়েছে। বয়সজনিত কারণে এবং বাণিজ্যিকভাবে অলাভজনক বিবেচিত হওয়ায় বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৬টি জাহাজ বিক্রয় করা হয়। বর্তমান বিএসসি’র বহরে আটটি জাহাজ রয়েছে। এর মধ্যে নতুন ছয়টি এবং পুরানো দু’টি।