ডিএমপি নিউজ: নারী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নারীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ লাবু(২৪), মোসাঃ মুন্নি(৩০), সিদ্দিকুর রহমান ওরফে হৃদয়(২৮), মোসাঃ পারুল বেগম ওরফে নাসরিন(২৭) ও মোসাঃ রূপা ইসলাম(৩০)।
ডেমরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম ডিএমপি নিউজকে বলেন, ৬ জানুয়ারি ২০২০ ডেমরার মিরপাড়া এলাকার জনৈক মোঃ সুমন নামের এক ব্যক্তি জানান, মোসাঃ মুন্নি তার প্রতিবেশী এবং পারিবারিক যোগাযোগ রয়েছে। সেই সূত্রে মুন্নি তার মেয়েকে নাচ শিখানোর জন্য ড্যান্স ক্লাবে ভর্তি করানোর কথা বলে। সেই সুবাদে গত বছরের মার্চের ১০ তারিখ প্রতিবেশী মুন্নি তার ছেলে পাপনের মাধ্যমে তার মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মুন্নি, মোঃ লাবুর সহায়তায় তার মেয়েকে ফুসলিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবো এলাকার আরেকজনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ৩/৪ দিন রাখার পরে সিদ্দিকুর ও মোসাঃ রূপা ইসলামসহ প্রথমে যাত্রাবাড়ি আসে। সেখান থেকে সিএনজি যোগে ঢাকার গাবতলী যায়। তারপর সেখান থেকে আরো কয়েকজন মিলে অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর নিয়ে যায় এবং একটি পতিতালয়ে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। তার মেয়ে ওই পতিতালয় থেকে পালিয়ে গত ৪ জানুয়ারি ২০২০ বেলা অনুমান এগারটায় ডেমরার বাড়িতে ফিরে আসে এবং সমস্ত ঘটনা তাকে বলে।
এই ঘটনায় ৬ জানুয়ারি, ২০২০ ডেমরা থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডেমরা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মৃগাংক শেখর তালুকদার ডিএমপি নিউজকে জানান, মামলাটির তদন্তভার পাওয়ার পর ৭ জানুয়ারি ২০২০ বেলা ২টায় ডেমরা এলাকা থেকে মোঃ লাবু ও মোসাঃ মুন্নিকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর বেলা ৩টায় সিদ্দিকুরকে এবং তারপর কুমিল্লার চান্দিনা থেকে পারুল বেগমকে গ্রেফতার করা হয়। আর ওইদিন রাতে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে রূপাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে লাবু, সিদ্দিকুর, পারুল বেগম ও রূপা ঘটনার সাথে নিজেকে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।
এই ঘটনায় পলাতক অন্যান্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।