সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং ইনফোকম কলকাতার আয়োজনে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় শনিবার শেষ হয়েছে দু’দিনব্যাপী সার্ক টেক সামিট-২০১৭।
‘ডিজিটাল ট্রান্সফর্মেশন’ অর্থাৎ ডিজিটাল রূপান্তরকে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজন করা হয় এই সম্মেলন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম হোটেল ওয়েস্টিনে শুক্রবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই সামিটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
শনিবার সামিটের শেষ দিনে আইওটি, ক্লাউড, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট সহ অন্যান্য বিষয়ে মোট ৬টি সেমিনার অনুষ্টিত হয়। সেমিনারে বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেশ-বিদেশের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ।
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, সামিটে তথ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক নয়টি টেকনিক্যাল সেশনের মধ্যে বিগডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং, ডিজিটাল বিজনেজ সিকিউরিটির মতো বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে যে ডিজিটাল রূপান্তর ঘটেছে তা পুরো বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। খুব দ্রুত ও স্বল্প সময়ের মধ্যে এই রূপান্তর ঘটেছে এবং একেবারে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষও ডিজিটাল রূপান্তরের আওতায় আসছে।
ই-গভর্ননেন্স, ই-এডুকেশন, ই-এগ্রিকালচার বিকাশ লাভ করেছে। তারানা হালিম আরও বলেন, ‘সব প্রান্তিক মানুষকে এখন ডিজিটাল সেবা দেয়া এবং সেবার মান উন্নত করাই আমাদের সরকারের লক্ষ্য। এই সেবাকে আমরা আরও সুলভ করতে চাই। এই তিনটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটালাইজেশনই আমাদের অগ্রাধিকার।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘বর্তমান সময়ে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আবশ্যক হয়ে গেছে।
সরকারিভাবে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (সক) স্থাপন করা হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারবে কারা কোথা থেকে কোথায় সাইবার আক্রমণ করছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট তপন কান্তি সরকার, ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা ও সার্ক সিসিআই-এর চেয়ারম্যান শাফকাত হায়দার।