ডিএমপি নিউজঃ জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে “ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)” নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ মার্চ ২০২২) বেলা ১১.০০ টায় প্রকল্পটির ১ম যৌথ সমন্বয় কমিটি সভা ডিএমপি সম্মেলন কক্ষে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ও প্রকল্প পরিচালক, ডিআরএসপি মোঃ মুনিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রসঙ্গত, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক “ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)” শীর্ষক কারিগরি সহায়তা প্রকল্পটি ঢাকা মহানগর এলাকায় গত মার্চ, ২০২২ থেকে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এর সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আউটপুটসমূহ সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি (ডিএসসিসি) প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সমন্বয় কমিটি (জেসিসি) গঠন করা হয়েছে।
তিন বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সর্বাত্মক সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাস্তবায়নে ডিএমপি’র সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ। উক্ত সভায় ডিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জাইকা সদর দফতর, জাইকা বাংলাদেশ অফিস এবং জাইকা এক্সপার্ট টিমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
“ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)” নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মুনিবুর রহমান বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা) একত্রে বাস্তবায়ন করছে ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি)। এটার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারন মানুষ ও যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। ইতোপূর্বে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক প্রোগাম করা হয়েছে। জনগণকে সচেতন করার জন্য আমার সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে থাকি।
তিনি আরো বলেন, জাইকা রোড সেফটি প্রজেক্ট নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষকে সচেতনতামূলক কর্মকান্ডে তারা কিভাবে সস্পৃক্ত করছে এবং সে দেশের মানুষের মাইন্ড সেটিং কিভাবে চেঞ্জ করছে সেগুলো নিয়ে আমরা আগামী তিন বছর তাদের সাথে কাজ করবো। আমরা যদি তাদের অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি তাহলে ঢাকা মহানগরের জনসাধারনকে আরো সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ও বেশি নিরাপত্তা দিতে পারবো।