ডিএমপি নিউজ: আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছি। উন্নয়নের এই ধারা বজায় রাখতে আমাদের পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে। সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, মালিক, শ্রমিক সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে।
আজ সকাল ১১.০০ টায় অফিসার্স কলোনী অডিটোরিয়াম, আজিমপুরে “ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে করণীয়” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগেরে উদ্যোগে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
উক্ত আলোচনা সভায় ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মীর রেজাউল আলম বিপিএম (বার) এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ওসমান আলী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ডিএমপি’র অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ গণপরিবহনের মালিক, শ্রমিক ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত সভায় ঢাকা শহরের গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফেরাতে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কমিশনার বলেন, গণপরিবহন পরিচালনার জন্য আমাদের দেশে আইন আছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই আইন আমরা কেউ মানতে চাই না। সবাই যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হয়, আইন না মানে তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু করতে পারবে না।
তিনি বলেন, গণপরিবহনের শৃঙ্খলা ফেরাতে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আইন না মানা, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করা, ঝুকিপূর্ণভাবে যাত্রী উঠানো, চুক্তিভিত্তিক গাড়ি চালানোর কারণে দূর্ঘটনার আশংকা বাড়ছে।
চালকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, এই দূর্ঘটনা কমাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের আইন মেনে গাড়ি চালাতে হবে, গাড়ি নিয়ন্ত্রিত গতিতে চালাতে হবে, নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া গাড়ি থামানো যাবে না, এক স্টপেজ থেকে অন্য স্টপেজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত দরজা বন্ধ রাখতে হবে, গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা যাবে না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং পরিহার করতে তবে। তবেই সড়ক দূর্ঘটনার মাত্রা কমে আসবে।
গাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, যাত্রীদের জন্য শতভাগ টিকেটের ব্যবস্থা করতে হবে। চালকদের চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেয়া যাবে না, তাদের বেতনভুক্ত করতে হবে। চালকদের চাকুরির নিয়োগপত্র দিতে হবে।
এছাড়াও সড়কে দূর্ঘটনারোধকল্পে পথচারীদের উদ্দেশ্যে কমিশনার বলেন, আপনারা যত্রতত্র রাস্তা পারাপার হবেন না, রাস্তা পারাপারে ফুটওভারব্রীজ, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করুন।
ট্রাফিক পুলিশের দ্বারা যাতে কোন মালিক, শ্রমিক হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে তিনি জানান।
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সময় উপযোগী পরিবহন ব্যবস্থা দরকার। সেজন্য আমরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছি। সকলের প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।