এখন পর্যন্ত ১৭৬টি ওয়ানডে খেলে নয়টি সেঞ্চুরি ও ৪০টি হাফসেঞ্চুরি করেন তামিম। এর মধ্যে আটবারই ৮০ ঊর্ধ্ব ইনিংস খেলেছেন। তার মধ্যে ৯৫ রানের ইনিংস তিনটি। তাই যত আক্ষেপ ঝরে পড়েছে তামিম ইকবালের কণ্ঠে, ‘১৭০টির বেশি ম্যাচ খেলে ফেলেছি। ৪০টা ফিফটি করেছি। এটা চিন্তা করলে হতাশাজনক, আমার আরো সেঞ্চুরি পাওয়া উচিত ছিল।’
সেঞ্চুরির সংখ্যা কম বলে কিছুটা খারাপও লাগে এই বাঁহাতি ওপেনারের, ‘সত্যি কথা বলতে কি, মাঝে মাঝে খারাপও লাগে।
অবশ্য গত ম্যাচে দারুণ একটি কীর্তি গড়েছেন তামিম। তিন সংস্করণ মিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১১ হাজার রান করেন তিনি। তাঁর মোট রান এখন ১১,০৭৭। যেখানে আছে ১৮টি সেঞ্চুরি ও ৬৮টি হাফসেঞ্চুরি।
তামিম এখন পর্যন্ত ৫২টি টেস্ট খেলে ৮ সেঞ্চুরি ২৪ হাফসেঞ্চুরিতে ৩৮৮৬ রান করেন। ১৭৬টি ওয়ানডতে ৯টি সেঞ্চুরি ও ৪০ হাফসেঞ্চুরিতে ৫৯৩৪রান এবং ৫৯টি টি-টোয়েন্টিতে ১২৫৭ রান করেন। ২০ ওভারের ক্রিকেটে তাঁর একটি সেঞ্চুরি ও চারটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে।
ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ৬ হাজার রানের মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। আর ৬৬ রান করলেই প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান পূর্ণ করবেন তামিম। এছাড়া আরও একটি বিশ্বরেকর্ড গড়ার সামনে দাঁড়িয়ে তামিম। একই ভেন্যুতে অর্থাৎ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি রান করার জন্য তামিমের প্রয়োজন ৪২ রান। আগামীকাল ত্রিদেশীয় সিরিজের পঞ্চম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৬৬ রান করলেই দু’টি রেকর্ড একসাথে স্পর্শ করতে পারবেন তামিম। অথবা ৪২ রান করলেও বিশ্বরেকর্ডের মালিক হবেন তিনি।
চলতি ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৪ ও শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৪ রানের দু’টি ইনিংস খেলেছেন ফর্মের তুঙ্গে থাকা তামিম। আগামীকাল আরও বড় ইনিংস খেলে বাংলাদেশের হয়ে দু’টি রেকর্ড গড়লে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।
ক্রিকেট বিশ্বে একই ভেন্যুতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করার জন্য ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগে তামিমের প্রয়োজন ছিলো ২১০ রান। প্রথম দু’ম্যাচে মিরপুরের ভেন্যুতে ১৬৮ রান করে ফেলায় রেকর্ড স্পর্শ করার কাছেই চলে এসেছেন তামিম। তবে ইতোমধ্যে পাকিস্তানের ইনজামাম উল হককে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম।
একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করার বিশ্বরেকর্ডের মালিক এখন শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক সনাথ জয়সুরিয়া। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৭১ ম্যাচের ৭০ ইনিংসে ২৫১৪ রান করেছেন তিনি। একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান এটিই।
ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে এই তালিকায় দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৫৯ ম্যাচের ৫৯ ইনিংসে ২৪৬৪ রান করেছেন তিনি। তবে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ১৬৮ রান করায় ইনজামামকে টপকে ২৪৭৩ রানের মালিক এখন তামিম। জয়সুরিয়াকে টপকে যেতে তামিমের প্রয়োজন এখন ৪২ রান।
একই ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করার দৌড় আছেন বাংলাদেশের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানও। জয়সুরিয়াকে টপকে যেতে সাকিবের আরও লাগবে ১৯৬ রান। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দু’ম্যাচে ৩৭ ও ৬৭ রান করেন সাকিব। এই টুর্নামেন্টে এই ভেন্যুতে এখনও বাংলাদেশের তিনটি ম্যাচ রয়েছে। এই তিন ম্যাচে সাকিব এই অর্জনের সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবেন, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না।
একই ভেন্যুতে ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি রান করা শীর্ষ পাঁচ খেলোয়াড় :
খেলোয়াড় ভেন্যু ম্যাচ ইনিংস রান
সনাথ জয়সুরিয়া (১৯৯২-২০০৯) আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম, কলম্বো ৭১ ৭০ ২৫১৪
তামিম ইকবাল (২০০৭-২০১৬) মিরপুর শেরে ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ৭৩ ৭২ ২৪৭৩
ইনজামাম-উল-হক (১৯৯৩-২০০২) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম ৫৯ ৫৯ ২৪৬৪
সাকিব আল হাসান (২০০৬-২০১৬) মিরপুর শেরে ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকা ৭৩ ৭০ ২৩১৮
সাইদ আনোয়ার (১৯৯০-২০০১) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম ৫১ ৫১ ২১৭৯