ক্রিকেট খেলা সাধারণত তিন ফরম্যাটের। একজন ব্যাটসম্যানের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি পাওয়া সবচেয়ে বড় অর্জন। কুমার সাঙ্গাকারা, জ্যাক ক্যালিস কিংবা শচীন টেন্ডুল্কারের মতো কিংবদন্তী খেলোয়াড়দের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কিংবা টেস্ট ক্রিকেটে অহরহ সেঞ্চুরি থাকলেও নেই কোনো আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি আছে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা এ পর্যন্ত ১৩ জন। তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশী খেলোয়াড় হিসেবে আছেন তামিম ইকবাল।
১. ক্রিস গেইল (ওয়েস্ট ইন্ডিজ): আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করা প্রথম ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। তার বিধ্বংসী ব্যাটিং প্রতিপক্ষের বোলারদের কাছে এক আতংকের নাম। মাঠে তার ব্যাট যেন হয়ে ওঠে এক ধারাল তলোয়ার। ১৯৯৮ সালে ১১ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় ২০০০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। একদিনের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পান ২০০১ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে। সে বছরই জিম্বাবুয়ের সাথে করেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসর। সে আসরের প্রথম ম্যাচেই গোটা ক্রিকেট বিশ্ব সাক্ষী হয়ে থাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরির। স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৫৭ বলে খেলেন ১১৭ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ২য় সেঞ্চুরিটি করেছেন ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা খ্যাত ক্রিস গেইল শুধু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই সেরা নন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানও তিনি। ২০১০ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২য় ট্রিপল সেঞ্চুরি। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম বলেই হাকিয়েছেন ছক্কা।
২. ব্রেন্ডন ম্যাককালাম (নিউজিল্যান্ড): তালিকায় ২য় অবস্থানে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সফল খেলোয়াড় তিনি। ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে ইঞ্জুরির জন্য নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন উইকেটকিপিং থেকে। ইদানীং ওপেনিং জুটিতেই তাকে বেশি দেখা যায়। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। একদিনের ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরি আসে ২০০৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
২০১৬ সালে নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচে ৫৪ বলে করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের দ্রুততম সেঞ্চুরি। টেস্ট ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ১২টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন দুবার, যার প্রথমটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে । ২০১২ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন ক্যারিয়ারের ২য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, ক্যারিয়ার এর শেষ টেস্টে করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি।
৩. সুরেশ রায়না (ভারত): বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের অন্যতম এক সেরা ফিল্ডার তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করা প্রথম এশিয়ান ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়ার পাঁচ বছর পর ২০১০ সালে তার টেস্ট অভিষেক হয়। প্রতিপক্ষ এবারও সেই শ্রীলঙ্কা। অভিষেক ম্যাচেই করেছিলেন সেঞ্চুরি। একদিনের ক্রিকেটে সফল হলেও টেস্ট ক্রিকেটে খুব একটা সফল নন তিনি। ১৮ টি টেস্টে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা বলতে গেলে সেই একটিই।
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি ৫টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে তার একমাত্র সেঞ্চুরিটি আসে ২০১০ সালে। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে শেষবারের মতো একদিনের ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন ২০১৫ সালে। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকার পর সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত নিদাহাস ট্রফিতে জাতীয় দলে ডাক পান।
৪. মাহেলা জয়াবর্ধনে (শ্রীলঙ্কা): এ তালিকায় প্রথম শ্রীলঙ্কান খেলোয়াড় মাহেলা জয়াবর্ধনে। তার সময়কালে তিনি ছিলেন অন্যতম এক সেরা ব্যাটসম্যান। স্পিন বল মোকাবেলায় তার শটগুলো ছিল দেখার মতো। ১৯৯৭ সালে ভারতের বিপক্ষে হয় টেস্ট অভিষেক। তার পরের বছর ১৯৯৮ সালে করেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি।
সে বছরই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হয় একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। শ্রীলঙ্কার রঙিন জার্সি গায়ে একদিনের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি করেন ১৯৯৯ সালে। টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই ফরম্যাটেই তার রান ১০,০০০ এর ওপরে। ২০১০ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেছিলেন প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। ২০১৪ সালে অবসর নিয়েছেন টেস্ট ক্রিকেট থেকে। ক্যারিয়ারের শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২০১৫-তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
৫. তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা): দিলশানের জন্ম মুসলিম বাবা এবং বৌদ্ধ মায়ের সংসারে। জন্মগত নাম তুয়ান মোহাম্মদ দিলশান। ১৬ বছর বয়সে তার বাবা মারা গেলে তার মা তাকে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষায় বড় করে তোলেন। তখন দিলশানের ছোট ভাই শ্রীলঙ্কার আরেক ক্রিকেটার তিলকরত্নে সাম্পাথের বয়স ছিল ১৫ বছর।
দিলশান এমন এক খেলোয়াড় ছিলেন, যিনি ব্যাট, বল এবং উইকেটকিপিং তিন ক্যাটাগরিতেই দক্ষ ছিলেন। মূলত স্কুপ শট খেলতেন, যা পরবর্তীতে তার নামের সাথে মিলিয়ে ডিলস্কুপ রাখা হয়। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ম্যাচ খেলেছেন ৩৩০টি, রান করেছেন ১০,২৯০। সেঞ্চুরি আছে ২২টি । ৮৭টি টেস্টে তার রান ৫,৪৯২, যার মধ্যে সেঞ্চুরি আছে ১৬টি। ক্যারিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২০১১ সালে পাল্লেকেলেতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
৬. মার্টিন গাপটিল (নিউজিল্যান্ড):ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এর পর ২য় কিউই ব্যাটসম্যান হিসেবে গড়েছেন তিন ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড। একদিনের ক্রিকেটে তার মোট রান ৫,৮৬৩। এতে সেঞ্চুরি আছে ১২টি।
২০১৫ এর বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২৩৭ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। ক্যারিয়ারে টেস্ট সেঞ্চুরি আছে ৩টি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি করেছেন দুবার। প্রথমটি ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। সম্প্রতি আস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন ক্যারিয়ারের ২য় আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
৭. আহমেদ শেহজাদ (পাকিস্তান): আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি আছে এ তালিকায় একমাত্র পাকিস্তানি খেলোয়াড় আহমেদ শেহজাদ। ১৯৯১ সালে লাহোরের এক পশতুন পরিবারে শেহজাদের জন্ম। মাত্র ২ বছর বয়সে বাবাকে হারান। তার মা একা হাতেই বড় করেছেন তাকে। স্বপ্ন দেখতেন পাকিস্তানের জার্সি গায়ে জাতীয় দলের হয়ে খেলার, মায়ের কষ্ট দূর করার।
পাকিস্তান জাতীয় দলে সুযোগ পান ২০০৯ সালে। অভিষেক ম্যাচে তার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার সেঞ্চুরি ৬টি । পাকিস্তানের হয়ে সাদা জার্সি গায়ে খেলেছেন ১৩টি ম্যাচ। সেঞ্চুরি করেছেন ৩টি, যার শেষটি আসে ২০১৪ সালে শারজায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। সে বছরই মিরপুরের হোম অফ ক্রিকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষ করেছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
৮. রোহিত শর্মা (ভারত): সুরেশ রায়নার পর তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি করা ২য় ভারতীয় খেলোয়ার রোহিত শর্মা। ভারতীয় ক্রিকেটের অন্যতম এক সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। পুরো নাম রোহিত গুরুনাথ শর্মা, ডাকনাম হিটম্যান। ভারতীয় জাতীয় দলের এক নিয়মিত মুখ। ব্যাট হাতে গড়েছেন অসংখ্য রেকর্ড। তবে তার সাফল্যগুলো যেন বিরাট কোহলির আড়ালে ঢাকা পড়ে যায়। একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে করেছেন ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটিও তার দখলে । ২০১৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেন ২৬৪ রানের এক দানবীয় ইনিংস।
রোহিতের টেস্ট সেঞ্চুরি আছে ৩টি। একদিনের ক্রিকেটে তার মোট সেঞ্চুরি ১৭টি। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর নিজের বিবাহবার্ষিকীতে করেন ক্যারিয়ারের ৩য় ডাবল সেঞ্চুরি। একমাত্র ভারতীয় খেলোয়ার হিসেবে করেছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দুবার সেঞ্চুরি। গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর স্ত্রী রাধিকার জন্মদিনে ৩৫ বলে করেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরি করার তালিকায় তার সাথে যৌথভাবে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার।
৯. তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ): এ তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশী খেলোয়ার বাঁহাতি ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল খান। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের ছেলে তামিম। চাচা আকরাম খান এবং বড় ভাই নাফিস ইকবাল খেলেছেন জাতীয় দলের হয়ে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ১০,০০০ হাজার রান সংগ্রাহক তিনি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের পথচলা শুরু হয় ২০০৭ সালে। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়ে। পরের বছর নিউজিল্যান্ডের সাথে হয় টেস্ট অভিষেক। টেস্ট ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ৮টি।
২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচে ওমানের বিরুদ্ধে করেছিলেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। সেই টুর্নামেন্টে তামিম ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। একমাত্র এশিয়ান ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিমের আছে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক শতাধিক, একদিনের ম্যাচে দেড় শতাধিক এবং টেস্টে দুই শতাধিক রানের ইনিংস।
১০. শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া): ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম এক কান্ডারী। নিজের সময়কালে ছিলেন অন্যতম এক সেরা ব্যাটিং অলরাউন্ডার। ২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। সে বছরই লাভ করেন ‘ব্র্যাডম্যান ইয়াং ক্রিকেটার অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার।
টেস্ট এবং একদিনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ২০১৫ সালে। ১৯০টি একদিনের ম্যাচ খেলে তার রান সংখ্যা ৫,৭৫৭, সেঞ্চুরি করেছেন ৯বার। সর্বোচ্চ ১৮৫ রানের ইনিংসটি খেলেছেন ২০১১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে। টেস্ট ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি আছে ৪টি। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে করেন ক্যারিয়ারের একমাত্র আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
১১. ফাফ ডু প্লেসিস (দক্ষিণ আফ্রিকা): তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি পাওয়া একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় ফাফ ডু প্লেসিস। বর্তমানে তিন ফরম্যাটেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ২০১২ সালে জেপি ডুমিনির ইনজুরির সুবাদে টেস্ট দলে তার জায়গা হয়।
৪র্থ দক্ষিণ আফ্রিকান খেলোয়াড় হিসেবে নিজের অভিষেকে টেস্টে করেছেন সেঞ্চুরি। খেলেছেন ১১০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস, যা পরবর্তীতে তাকে দলে জায়গা করে নিতে সাহায্য করে। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হাঁকান ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি। তিন ফরম্যাটেই তার সেঞ্চুরি এসেছে অধিনায়ক থাকা অবস্থায়। দিলশানের পর ২য় খেলোয়াড় হিসেবে গড়েছেন এই কীর্তি। এবি ডি ভিলিয়ার্স অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালে ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট তিন ফরম্যাটেই তাকে অধিনায়ক ঘোষণা করা হয়।
১২. কে এল রাহুল (ভারত): তিন ফরম্যাটেই সেঞ্চুরি পাওয়া তৃতীয় ভারতীয় তিনি। পুরো নাম কানানুর লোকেশ রাহুল। তার বাবা এবং মা দুজনই অধ্যাপক। তবে নিজে আর বাবা মায়ের পেশা বেছে নেননি। ২০১৪ সালে বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক হয়। নিজের ২য় টেস্টে করেছিলেন সেঞ্চুরি।
তবে টেস্ট অভিষেকে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপটা তার একদিনের ক্রিকেটে হয়নি। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে অভিষেক ম্যাচে করেন সেঞ্চুরি। সে বছরই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেন টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি।
১৩. গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (অস্ট্রেলিয়া): এ তালিকায় সর্বশেষ জায়গা পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বলা বাহুল্য, শেন ওয়াটসন এর পর ২য় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে তিনি গড়েছেন এই কীর্তি। টেস্ট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার সেঞ্চুরি ১টি করে। তবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন দুবার। ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলেছেন ৬৫ বলে ১৪৫ রানের ইনিংস। গত বছরের ১৬ই মার্চ ভারতের বিপক্ষে পান টেস্ট ক্রিকেটের প্রথম সেঞ্চুরি ।