চলতি মৌসুমে পাবনায় গ্রীষ্মকালীন তিলের উৎপাদন লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। জেলার নয় উপজেলায় সম্মিলিতভাবে ১৩ হাজার ৩৪০ টন তিল উৎপাদন হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পাবনার নয় উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১৩ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে তিলের চাষ করা হয়। হেক্টরপ্রতি এক টন করে তিল উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। সে হিসাবে উৎপাদন লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হয়েছেন জেলার কৃষকরা। জেলায় এবার মোট ১৩ হাজার ৩৪০ টন গ্রীষ্মকালীন তিল উৎপাদন হয়েছে।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভূতিভূষণ সরকার জানান, এখানকার মাটি তিল আবাদের জন্য বেশ উপযোগী। জেলায় দিন দিন তিলের আবাদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই শস্যটির উৎপাদনে জমির পরিমাণ বাড়ছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকা ও বহুবিধ ব্যবহারের কারণে স্থানীয় কৃষকরা তিল চাষে ঝুঁকছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় সবচেয়ে বেশি তিল উৎপাদন হয়েছে পাবনা সদর উপজেলায়। এখানে ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজার ৭৫০ টন তিল উৎপাদন হয়েছে। এর পরই রয়েছে সাঁথিয়া উপজেলার অবস্থান। এখানে উৎপাদন হয়েছে ২ হাজার ৮৮০ টন তিল। উৎপাদন তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বেড়া উপজেলা। এখানে ২ হাজার ৩৫৫ টন তিল উৎপাদন হয়েছে। জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ৫০০ হেক্টর জমিতে আবাদ করে কৃষকরা ৫০০ টন তিল উৎপাদন করেছেন। এছাড়া আটঘরিয়ায় ৮৫০ টন, চাটমোহরে ৭৬৫ টন, ভাঙ্গুড়ায় ৭১৫ টন, ফরিদপুরে ৭৭৫ টন ও সুজানগরে ৭৫০ টন তিল উৎপাদন হয়েছে।