ডিএমপি নিউজ: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের(ডিএমপি) তুরাগ থানা পুলিশ গত ১৮ জানুয়ারি, ২০২০ তারিখ তুরাগ থানায় একটি বাসায় ডাকাতির ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। যাদের মধ্যে ৩ জন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোঃ মফিজুল ইসলাম ডিএমপি নিউজকে বলেন, ১৮/০১/২০২০ রাত্রে অনুমান ০২:৪৫ টা থেকে ০৩:১০ টা পর্যন্ত তুরাগ থানার বাউনিয়ার নৌবাহিনীর সিভিল স্টাফ সাজ্জাদুর রহমান এর দ্বিতীয় তলার বাসায় অজ্ঞাতনামা সাত-আটজন মুখোশ পরিহিত ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল, আংটি সবমিলিয়ে ওজন অনুমান ৪ ভরি এবং নগদ টাকাসহ সর্বমোট ৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়।
একই কায়দায় ২৫/০১/২০২০ পল্লবীর আলোবদিরটেক এলাকায় আরো একটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। উভয় ঘটনায় তুরাগ ও পল্লবী থানায় দুটি পৃথক ডাকাতির মামলা রুজু হয়।
বর্ণিত দুইটি ডাকাতির ঘটনায় কোন ক্লু না থাকায় এডিসি উত্তরা জোন মোঃ কামরুজ্জামান সরদারের নেতৃত্বে একটি দল বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ৯ জন ডাকাতকে সনাক্ত করে।
এরপর ১০ মার্চ, ২০২০ রাত থেকে ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে ভাটারা থানা এলাকা থেকে ডাকাত মোঃ হান্নান সরদার(৩৫), যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ডাকাত মোঃ ফজলে সরদার (৪২), শেরেবাংলা নগরের পশ্চিম আগারগাঁও এলাকা থেকে ডাকাত মোঃ খায়রুল (৩৫), তুরাগের বাউনিয়া এলাকা থেকে ডাকাত মোঃ সোহরাব হোসেন কামাল (৪২) কে ও মোহাম্মদপুর থানার চাঁদ উদ্যান এলাকা থেকে মা জুয়েলার্স- এর মালিক মোঃ মামুন (৩০) কে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর সোহরাব হোসেন কামালের দেওয়া তথ্যমতে ভোলার চরফ্যাশন থেকে ডাকাত মোঃ মাসুদ ওরফে ভোলা মাসুদ (৩৭)কে গ্রেফতার করা হয়। মোঃ মাসুদ এর কাছ থেকে বেশ কিছু স্বর্ণ ও ইমিটেশনের গহনা উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ডাকাতদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র শাবল, বটি, ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত হান্নান, ফজলে সরদার ও খায়রুল আজ (১১ মার্চ, ২০২০) বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত দলের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে মাদারীপুরের সদর, কালকিনি, ডাসার, শিবচর, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, মানিকগঞ্জের সিংগাইর , গাজীপুরের শ্রীপুর, যশোরের নিউ মার্কেট থানা, বিএমপি-এর বন্দর থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মফিজুল ইসলাম। এ মামলায় তদন্ত অব্যাহত আছে।