জীবন এখানে তুষার পরশে ঘেরা৷ জীবন এখন জবুথবু৷ তবুও ‘সফেদ রং মে ডুব’ দিয়ে অপূর্ব রূপে ধরা দিয়েছে মুরি৷ এটাও পাঞ্জাব৷ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সর্ব উত্তরে অধিকৃত কাশ্মীরের সীমান্ত শহরের ছবি ছড়িয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক পর্যটন মহলে৷
আর এই সময়ে অর্থাৎ শীতের মৌসুমে পাকিস্তানের অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব প্রদেশের মুরিতে তুষারপাত খুবই সাধারণ ঘটনা৷ বিভিন্ন পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, প্রবল তুষারপাতের কারণে মুরি থেকে রাওয়ালপিন্ডি-ইসলামাবাদ যাওয়ার সড়ক প্রায় বিচ্ছিন্ন৷ প্রবল ঝুঁকি নিয়ে কিছু গাড়ি চলাচল করছে৷ আগে যাঁরা পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই রয়েছেন মুরি শহরে৷ তবুও অপূর্ব তুষারপাতের আনন্দ ভোগ করতে কয়েকজন চেষ্টা করে সেখানে পৌঁছে যান৷ তাঁদেরই ক্যামেরায় ধরা পড়ছে মুরির বিভিন্ন ছবি৷
মুরি (মারি) ব্রিটিশ শাসিত ভারতের পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম পর্যটন নগরী তথা শৈলশহর হিসেবে সুখ্যাতি কুড়িয়েছিল৷ ভারত ভাগ হয়ে পাকিস্তান তৈরি হয়৷ আর মুরি পড়ে যায় পাকিস্তানে৷ সেই থেকে বিখ্যাত এই শহরটি পাক পর্যটনের শিল্পের অন্যতম নাম৷ চারিদিকে ছড়িয়েছে অজস্র পুরাতন নিদর্শন ও ইতিহাসের মাঝে মুরিতে তাই দূর থেকেই পর্যটকরা আসেন ছুটি কাটাতে৷ আর শীতের মৌসুমে তো কথাই নেই৷
শুধু মুরি নয়, পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সর্বত্র তুষারে ঢেকেছে৷ উত্তরের কারাকোরাম রেঞ্জ থেকে পীরপাঞ্জাল পর্বত শ্রেনী পার করে সেই হিমেল হাওয়া ছড়িয়েছে দেশটির সর্বত্র৷ প্রাদেশিক রাজধানী সহর লাহোরের জনজীবন কুঁকড়ে গিয়েছে ঠাণ্ডায়৷ সকাল হলেই ঘন কুয়াশা তার পর বেলা গড়ালেই শীতল তাপমাত্রা কামড়ে ধরছে সবাইকে৷
পাক পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি জেলার পীরপাঞ্জাল রেঞ্জের গালাত অঞ্চলের অন্যতম মুরির ইতিহাস শুরু হয় উনিশ শতকে৷ ১৮৫১ সালে ব্রিটিশ সেনাদের জন্য একটি স্বাস্থ্যনিবাস হিসাবে মুরি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৫৩ সালে মুরিকে স্থায়ী শহর হিসেবে নির্মাণ করা হয়৷