শনিবার দেশটির গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে তেহরান হামলার মূলপরিকল্পনাকারী নিহত হলেও তার পরিচয় প্রকাশ করেনি ইরান।
গোয়েন্দামন্ত্রী টেলিভিশনে এক সাক্ষাতকারে বলেন, হামলার পর নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের জের ধরে ওই সন্ত্রাসী দেশ থেকে পালিয়ে যায় কিন্তু বন্ধু দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগিতায় সে নিহত হয়। তবে বন্ধু দেশ কোনটি তাও উল্লেখ করেননি তিনি। ইরানের সঙ্গে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইরাক, তুরস্ক,আজারবাইজন ও তুর্কমেনিস্তানের সরাসরি সীমান্ত রয়েছে।
গোয়েন্দামন্ত্রী বলেন, ‘সাম্প্রতিক গোয়েন্দা অভিযানে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও গ্রেনেড লাঞ্চার উদ্ধার করা হয়েছে।’
এরআগে, তেহরানে হামলার পর ওই হামলার দায় স্বীকার করে আইএস জঙ্গিরা। আইএস জঙ্গিরা প্রথমবারের মত ফার্সিভাষায় ওই হামলার ফুটেজ ধারণ করে সচিত্র ধারাবিবরণী প্রকাশ করে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ইরানের সংসদ ভবন ও ইমাম খোমেনীর মাযারে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ জন নিহত ও ৫২ জন আহত হয়। ওই দুটি হামলায় হামলাকারী ৭ জন নিহত হয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে।
হামলায় হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মাহমুদ আলাভি বলেন, গত কয়েক মাসে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ২৫টি সন্ত্রাসী চক্রকে নিষ্ক্রিয় করেছে। বহু সংখ্যক সন্ত্রাসী হামলা নস্যাতের প্রতিশোধ নিতে বুধবার ইরানে হামলা চালানো হয়েছে।