গোলাপ ফুলের পাপড়ি জলে ভিজিয়ে রেখে তৈরি করা হয় গোলাপ জল। ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী এই জল। আর সে জন্যই সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে ব্যবহার করা হয় গোলাপ জল। তবে, শুধু আজকের দিনে নয়, প্রাচীনকাল থেকেই গোলাপ জলের ব্যবহার হয়ে আসছে। সব রকমের ত্বকের জন্যই উপকারী প্রাকৃতিক এই উপাদান।
সব ধরনের ত্বকের সমস্যা সমাধানে, ত্বককে সিক্ত (হাইড্রেট), নরম এবং মসৃন রাখতে সাহায্য করে গোলাপ জল। আসুন জেনে নিই সৌন্দর্য বাড়াতে আর কীভাবে সাহায্য করে গোলাপ জল?
১) অনুষ্ঠান বাড়ি হোক কিংবা সাধারণ দিন, রোজকার জীবনে অল্পবিস্তর হলেও মেকআপ প্রায় সকলেই ব্যবহার করে থাকেন। আপনার ত্বক তৈলাক্ত হোক কিংবা শুষ্ক অথবা সেনসিটিভ, সব রকমের ত্বকেই আপনি মেকআপ তোলার কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এই গোলাপ জল। অন্যান্য মেকআপ তোলার প্রসাধনীতে অ্যালকোহল জাতীয় এমন কিছু পদার্থ থাকে, যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয়। তাই মেকআপ তোলার জন্য আদর্শ হল গোলাপ জল। দু চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে এক চামচ আমন্ডের তেল মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। মেকআপ তোলার সঙ্গে সঙ্গে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে এই মিশ্রণ।
২) ত্বকের ফোলাভাব কমাতে আদর্শ ঘরোয়া উপাদান গোলাপ জল। অনেকেরই চোখের নিচের অংশ ফোলা থাকার সমস্যা দেখা দেয়। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে তুলোয় অল্প করে গোলাপ জল নিয়ে গোটা মুখে ভালো করে লাগাতে পারেন। মিনিটের মধ্যে দেখবেন চোখ মুখের ফোলাভাব ভ্যানিশ।
৩) ত্বকের নোংরা, ময়লা দূর করতে অনেকেই টোনার ব্যবহার করেন। কিন্তু ত্বক পরিস্কারের জন্য গোলাপ জলের থেকে ভালো কিছু আর নেই। গোলাপ জল শুধু ত্বক পরিস্কারই করে না, ত্বকের pH লেভেল বজায় রাখতেও সাহায্য করে। তার জন্য তুলোয় গোলাপ জল নিয়ে দিনে দুবার ব্যবহার করতে পারেন। প্রত্যেকদিন গোলাপ জল ব্যবহার করলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইটহেডস নিমেষে ভ্যানিশ হয়ে যাবে।
৪) ৬ চামচ গোলাপ জলের সঙ্গে ২ চামচ নারকেল তেল এবং ২ চামচ গ্লিসারিন মিশিয়ে প্রত্যেকদিন ২ বার করে ব্যবহার করলে ময়শ্চারাইজারের কাজ করবে।
৫) গরমকাল বা শীতকাল, ত্বকের সমস্যা চিরকালীন। ত্বকের অ্যালার্জি বা যেকোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গোলাপ জলের সঙ্গে পরিমাণ মতো তুলসী পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।