টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এর আগেও দুটি বহুজাতিক সিরিজের ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। প্রথমবার ঘরের মাঠে ২০১৬ সালে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নেতৃত্বে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় ফাইনালটা ছিল গত বছর। সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস কাপের ফাইনালে শেষ বলে দিনেশ কার্তিকের খুনে ব্যাটিংয়ে ট্রফির দুয়ার থেকে ফিরেছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে সাকিবের অধিনায়কত্বে আজই প্রথম ফাইনাল খেলবে টাইগাররা।
এই ফরম্যাটে আফগানরা সন্দেহাতীতভাবে এগিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। আফগানদের সমীহ করলেও বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো আত্মবিশ্বাসী ফাইনাল বিজয়ে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে আমরা জানি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি।
ইনজুরির কারণে লেগ স্পিনার আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের খেলা হচ্ছে না আজ। গতকাল এই তরুণ নিজেই বলেছেন, হাতের সেলাই খোলা হবে দুই দিন পর। কোচ ডমিঙ্গোও হাফ ফিট কাউকে একাদশে রাখতে চান না।
টানা দুই ম্যাচ হারলেও হতোদ্যম নয় আফগানরা। হ্যামস্ট্রিংয়ের কারণে একটু অনিশ্চয়তা থাকলেও রশিদ খানের খেলার সম্ভাবনাই বেশি। গতকাল আফগান অধিনায়ক বলেছেন, ফাইনাল বিজয়ে শতভাগ নিংড়ে দিতে চান তারা।
উইকেট, একাদশ যা-ই হোক, বহুজাতিক সিরিজে আরেকটি ট্রফি জিততে হলে আজ আফগানদের বিপক্ষে সামর্থ্যের সেরাটাই খেলতে হবে সাকিব বাহিনীকে।