নেপালের রাজধানীর কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে ত্রিভুবন বিমানবন্দর। এর আগে, একের পর এক বিমান ও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কারণে বারবারই আলোচনায় এসেছে বিমানবন্দরটি।বিমানবন্দরটিতে ১৯৭২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গেলো ৪৬ বছরে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬৫০ জনেরও বেশি মানুষ।
বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়েছে, প্রথমবার সেখানে আন্তর্জাতিক বিমান অবতরণের পর থেকে এ পর্যন্ত ৭০টিরও বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
বহু মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী এ বিমানবন্দরে ভয়াবহ সব দুর্ঘটনার তালিকাকে আরও দীর্ঘ করলো ইউএস বাংলার ফ্লাইট বিএস-টু ওয়ান ওয়ান। পাহাড়ে ঘেরা ত্রিভুবন বিমানবন্দরটি নেপালের কাঠমান্ডু উপত্যকায়, শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে। উড়োজাহাজ তদন্তকারীদের মতে, ভৌগোলিক অবস্থান ছাড়াও নিচু দিয়ে ওড়া, মেঘ এবং ঝুঁকিপূর্ণ রানওয়ে এসব বিমান দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
নিয়মিত বিমান চলাচল শুরুর পর ১৯৭২ সালে থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে মারা যান একজন। ১৯৯২ সালে থাই এয়ারওয়েজের এয়ারবাস অবতরণের সময় পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১৩ জন যাত্রীর সবাই নিহত হয়। একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পিআইএ’র বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৬৭ জনের সবাই প্রাণ হারায়।
এছাড়া ১৯৯৫ সালে রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের বিমান বেষ্টনী ভেঙে দু’জন নিহত হন। ১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে লুফথানসার বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাঁচ ক্রু নিহত হন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে নেকন এয়ারের বিমান টাওয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫ জন মারা যান।
২০১১ সালে বুদ্ধ এয়ারের একটি বিমান দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত হন। ২০১২ সালে সিতা এয়ারের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন মারা যান। ২০১৫ সালে তুর্কী এয়ারলাইন্সের বিমান নামতে গিয়ে ছিটকে পড়ে। ২০১৭ সালের মে মাসে সামিট এয়ারলাইন্সের আরও একটি বিমান দুর্ঘটনায় পড়ে।