আড়াই লাখ টন চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।এর মধ্যে সরকার থেকে সরকার (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে থাইল্যান্ড থেকে দেড় লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। আর জাতীয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ১৭টি প্রতিষ্ঠান আমদানি করবে ১ লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল।
বুধবার সচিবালয়ের অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সভা শেষে মন্ত্রপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
সভা সূত্রে জানা গেছে, চালের জরুরি প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় থাই কর্তৃপক্ষকে দেড় লাখ টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল এলসি খোলার ৯০ দিনের মধ্যে সরবরাহের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যা ও ব্লাস্ট রোগের কারণে এ বছর চাহিদার তুলনায় চাল কম উৎপাদন হবে। এ অবস্থায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে চাল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হয়। এর মধ্যে ভিয়েতনাম থেকে আড়াই লাখ টন চাল সরবরাহ প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে রয়েছে। কম্বোডিয়ার কাছ থেকে আড়াই লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি হওয়ার পর ঋণপত্র খোলা হয়েছে। এ ছাড়া মায়ানমার থেকে এক লাখ টন চাল আমদানির চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।