বরিশালসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, এই প্রকল্পের একটি অংশ ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত রেলপথ নিমার্ণ কাজ ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা হবে। পদ্মাসেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত দুই অংশে রেলপথটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার মেইন লাইন, ঢাকা-গেন্ডারিয়া পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার ডাবল লাইন, লুপ, সাইডিং ও ওয়াই-কানেকশসসহ মোট ২১৫ দশমিক ২২ কিলোমিটার ব্রড গেজ রেল লাইন নির্মাণ করা হবে। আজ বুধবার সরেজমিনে পদ্মারেল সংযোগ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী মো. রফিকুল আলম ও পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সহ প্রকল্পের অন্য কর্মকর্তাগণ।
এ সময় রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতুর রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে শুধু দক্ষিণাঞ্চল নয় পুরো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নত হয়ে যাবে। পদ্মাসেতু দিয়ে যেদিন থেকে গাড়ী চলাচল শুরু হবে সেদিন থেকে রেল চলাচল যাতে শুরু করা যায় সেজন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য। এ জন্য আগামী ২০২০ সালে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত এই অংশ কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তবে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২২ সালে।
এর আগে রেল সংযোগ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মাঝে চেক হস্তান্তর করেন রেলমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশের প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগের উদ্যোগ নিয়েছে। পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করা হলে দেশের জিডিপিতে ২ শতাংশ ও রেলপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ১ শতাংশ যুক্ত হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিএসসির তত্ত্বাবধানে ডর্প পিবিআরএলপি পুনর্বাসন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা হতে মাওয়া হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রথম ধাপের প্রকল্পে ৮২ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার রেলপথে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ হাজার ৫৪৮ পরিবার রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৩৫৮ দশমিক ৪১ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ চলছে। প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তরা ১৯৮২ সালে ভূমি অধিগ্রহণ আইনের আওতায় ইতপূর্বে জেলা প্রশাসক থেকে ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন।