ডিএমপি নিউজ: দারুস সালাম এলাকার হোটেল শাহ্জালালের মালিক জুনায়েত হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে সজিব ওরফে স্যুটার সবুজকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর)।
২৯ জুলাই ২০১৯ রাত ৮.৩০ টায় সময় যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) এর একটি বিশেষ টিম।
গ্রেফতারকৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আনোয়ার হোসেন সবুজ ওরফে সজিব ওরফে স্যুটার সবুজসহ তার সহযোগীরা ভিকটিম রফিকুল ইসলাম জুনায়েত এর নিকট ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। একটি মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে আসে যোগাযোগ করার জন্য। কিন্তু ভিকটিম তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর থেকে ভিকটিমের মোবাইলে বিভিন্ন হুমকির মেসেজ আসতো। উক্ত দাবিকৃত চাঁদার টাকা না পাওয়ায় চাঁদাবাজ গ্রুপটি জুনায়েতের উপর বেশ ক্ষুব্ধ হয়। চাঁদাবাজ গ্রুপটি ভিকটিমকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি স্যুটার সবুজ তার সহযোগীদের সিমসহ কয়েকটি মোবাইল ফোন সেট প্রদান করে এবং সে নিজের কাছে একটি মোবাইল ফোন রাখে। ঐ ফোনগুলো দিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করত এবং শাহজালাল হোটেলের মালিক ভিকটিম জুনায়েতকে নজরদারি করত।
পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক ২০১৬ সালের ০১ ফেব্রুয়ারি রাত অনুমান ১১.০০ টায় গ্রুপটি সবুজের বাসায় একত্রিত হয়। সবুজের নেতৃত্ত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা পিস্তলসহ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। ঐদিন দিবাগত রাত অনুমান ০০.১৫ টায় ভিকটিম জুনায়েত হোটেলের সকল হিসাব নিকাশ শেষ করে তার নিজ বাসা দক্ষিণ বিশিলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ভিকটিম জুনায়েত দারুস সালাম রোডে পাইকপাড়া সরকারি স্টাফ কোয়ার্টার জামে মসজিদের সামনে ফুটপাতের উপর পৌঁছা মাত্র স্যুটার সবুজের নেতৃত্ত্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা ভিকটিম জুনায়েতকে চর্তুদিক থেকে ঘেড়াও করে। সবুজ তার হাতে থাকা পিস্তল জুনায়েতের বুকের বাম পাশে ঠেকিয়ে গুলি করে। গুলি করার পর জুনায়েতের মৃত্যু নিশ্চিত করে সবাই গুদারাঘাট বটতলার দিকে চলে যায়। রাত অনুমান ০১.০০ টায় সবুজ এর নির্দেশে সবাই মোবাইল বন্ধ করে সিমসহ তুরাগ নদীতে ফেলে দেয় এবং সবাই আত্মগোপন করে থাকে।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদি হয়ে দারুস সালাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অত্র মামলার ঘটনায় জড়িত সহযোগী অভিযুক্তদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে।