ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, আদালতের রায় শোনার পর উপস্থিত লোকজন হাত তালি দিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রায়ের পর নীরবে কেঁদে ওঠেন নির্ভয়ার মা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নির্ভয়ার বাবা বদরি সিং বলেন, ‘যদিও বিচার পেতে সময় লেগেছে, কিন্তু তারপরও ন্যায়বিচার পাওয়া গেছে; এখন আর আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। এটি আমার পরিবারের জয়। এই বিচারে আমি খুশি।’
নির্ভয়ার মায়ের কণ্ঠেও একই আবেগ প্রতিধ্বনিত হয়। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে ন্যায়বিচার পেয়েছে। বিচারবিভাগকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
২০১২ সালের ১৬ই ডিসেম্বর চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হন ওই মেডিকেল শিক্ষার্থী। মিডিয়া তাকে ‘নির্ভয়া’ নামে ডাকতে শুরু করে। ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনার পর দেশ জুড়ে বিক্ষোভ-আন্দোলন-প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। মেয়ের মৃত্যুর তিন বছর পর সমস্ত কুন্ঠা ত্যাগ করে নির্ভয়ার আসল নাম জ্যোতি সিং বলে জানান মা আশা। রাম সিং নামে এই মামলার পঞ্চম অভিযুক্ত তিহার জেলে রহস্যজনকভাবে মারা যায়। এই মামলার ষষ্ঠ অভিযুক্ত যে অপরাধের সময় নাবালক ছিল, তাকে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড তিন বছরের জন্য সংশোধনাগারে পাঠায়। তবে ২০১৫-র নভেম্বরে সে ছাড়া পায়।