দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল এক টুইটে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে তুলেছিলেন। এ বিষয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের একটি আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। গতকাল মঙ্গলবার মামলার শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে কেজরিওয়ালকে উপস্থিত থাকার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। কিন্তু তিনি এ আদেশ মানেননি। এ কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত ।খবর এনটিভি।
আসছে ২৩ এপ্রিল দিল্লি মিউনিসিপাল করপোরেশনের নির্বাচন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল এ কারণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এ নির্বাচন রাজ্যের রাজনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে রাজ্যের বাইরে যাওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়। এ কারণ জানিয়ে তার পক্ষ থেকে আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত তার এ যুক্তি আমলে নেননি।
উল্লেখ্য গত ডিসেম্বরে কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে টুইটারে প্রশ্ন লেখেন, মোদী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে স্নাতক পাসের যে সনদ দেখান, সেটা ভুয়া। এ টুইটের জেরে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন আসামের বিজেপি নেতা সূর্য রঙফার। কেজরিওয়াল ও তার দল মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিভিন্ন সময় সরব হয়েছে। তবে এ দাবিকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, নরেন্দ্র মোদী ১৯৭৮ সালে স্নাতক পরীক্ষায় বসেন। ১৯৭৯ সালে তাকে সনদ দেয়া হয়। তার এ সনদ ভুয়া নয়।