বেলা ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসে ফোন। রিসিভার তুলতেই ওপার থেকে অচেনা কন্ঠ জানাল, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই০২০ বিমানে বোমা রাখা আছে। আর কিছুক্ষণ পরেই দিল্লি থেকে ২৪৮ জন যাত্রী নিয়ে উড়ানের জন্য তৈরি বিমান। ভিতরে তখন বাংলার তিন সাংসদ নাজিমুল হক, শুভেন্দু অধিকারী এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
ফোনটি আসার পর তড়িঘড়ি এটিসি-র মাধ্যমে পাইলটকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়। নামিয়ে আনা হয় যাত্রীদের। বিমান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় নির্জন বে-তে। তল্লাশি শুরু হয় বিমানে।
এয়ার ইন্ডিয়া সূত্রে খবর, বুধবার দুপুর ২ টো ৪৫ মিনিট নাগাদ দিল্লি থেকে ছাড়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই০২০ বিমানটির। ২ টো ১৫ মিনিট নাগাদ একটি উড়ো ফোন মারফৎ জানা যায় বিমানটিতে বোমা রাখা আছে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই রানওয়ে থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিমানটিকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা। নতুন করে যাত্রীদের ব্যাগপত্র তল্লাশি শুরু হয়।
বিমান সংস্থাটির এক কর্তৃপক্ষের কথায়, ‘‘বিমানে বোমা রয়েছে খবর পেয়েই আমরা বিমানটিকে একটি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাই। তল্লাশি শুরু হয়েছে। তবে গোটা প্রক্রিয়াটিতে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক সময় লাগবে।’’
এ দিন ওই বিমানটিতেই ছিলেন বাংলার তিন সাংসদ নাজিমুল হক, শুভেন্দু অধিকারী এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদার। সংসদে গ্রীষ্মকালীন অধিবেশনের জন্য রাজধানীতে ছিলেন তাঁরা। এ দিনই এয়ার ইন্ডিয়ার এআই০২০ বিমানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁদের। বোমাতঙ্কের জেরে উড়ানে বিলম্ব হওয়ায় একটি বিকল্প বিমানে যাত্রীদের কলকাতা ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।