ভাবুনতো ছোট একটি পাহাড় সেখানে অনেক গাছ গাছালির সমাহার থাকার কথা থাকলে রয়েছে গাছের চেয়ে ক্রুসই বেশি, তাহলে কেমন লাগবে। হ্যাঁ এমন এক পাহাড় রয়েছে যেখানে দুই লাখের বেশি ক্রুস আছে। এই ক্রুসের পাহাড়টি লিথুয়ানিয়ায়। বারবার ধ্বংসের চেষ্টা হলেও তা ব্যর্থ করে স্বমহিমায় হিল অফ ক্রুস। তীর্থস্থানটিতে লাখো দর্শনার্থীরা আসেন মানসিক প্রশান্তির আশায়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের সময় ১৯৬১ সালের দিকে কমিউনিস্ট দলের নির্দেশে লিথুয়ানিয়ার পাহাড় থেকে বেশিরভাগ ক্রুস সরিয়ে ফেলা হয়। তবে এক দশকের কম সময়ে স্থানীয়দের চেষ্টায় আবারো ফিরতে শুরু করে আগের অবস্থা।
নতুন যুক্ত হওয়া ৪শ’র বেশি ক্রুস ফের সরিয়ে ফেলতে ক্লিন আপ নামে আবারো অভিযান চালানোর চেষ্টা করে সোভিয়েতরা। সবশেষ ১৯৮৫ সালেও ধ্বংসযজ্ঞ চলে পাহাড়ে।
স্থানীয়রা বলেন, যেভাবে বিভিন্ন উপায়ে লিথুয়ানিয়ানরা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিল তারই চিত্র তুলে ধরে এখানকার ক্রুসগুলো। ৪ থেকে ৫ বার এটি ধ্বংস করে দেয়ার পরও প্রত্যেকবার এটি পুনঃর্নির্মাণ করা হয়েছে।
১৯৯৩ সালে লিথুয়ানিয়া সফর করেন দ্বিতীয় পোপ জন পল। সে সময় সমাগম হয় প্রায় এক লাখ মানুষের। এরপরই আন্তর্জাতিকভাবেও খ্যাতি পায় পাহাড়টি।
স্থানীয়রা বলেন, বিয়ের পর নতুন দম্পত্তিরাও এখানে আসে। শিশুর জন্মের পর আপনারাও তার সুন্দর জীবনের প্রত্যাশায় এখানে আসতে পারেন। আবার অনেকেই আসেন প্রার্থনা বা মনের প্রশান্তির জন্য।
স্থানীয়দের পাশাপাশি প্রতিবছর কয়েক লাখ দর্শনার্থী আসেন লিথুয়ানিয়ার এই ক্রুসের পাহাড়ে।