গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে সোনালী ব্যাংকের সঙ্গে প্রাণ ডেইরির এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
উন্নতজাতের গাভী পালন ও দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাণ ডেইরির চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদানের জন্য এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (করপোরেট ফাইন্যান্স) উজমা চৌধুরী ও সোনালী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. ইউনুসুর রহমান, সোনালী ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আশরাফুল মকবুল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, আইটিসহ অর্থনীতির অন্যান্য খাতের ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। অর্থনীতির কাঠোমগত পরিবর্তনও এসেছে। তবে কৃষি এখনও আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি।
দেশের কৃষি শিল্পে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ অনুকরণীয় কাজ করছে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, তাদের কর্মকান্ড আমাদের জন্য অনুকরণীয় এবং নির্দেশনামূলক। আশা করি দেশের অন্যান্য শিল্পগোষ্ঠী এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসবে।
সোনালী ব্যাংক ও প্রাণ ডেইরির মধ্যে চুক্তির আওতায় দুগ্ধখামারিরা সোনালী ব্যাংক থেকে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবীর বলেন, দুগ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদানের মত কর্মসূচি উদ্যোক্তা বিকাশ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করবে। তিনি সোনালী ব্যাংকের মতো অন্যান্য ব্যাংকেও কৃষিখাতে ঋণ প্রদানের আহবান জানান।
সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ জানান, প্রাণ ডেইরির দেয়া তালিকা অনুযায়ী তাদের চুক্তিবদ্ধ খামারিদের ঋণ প্রদান করা হবে। খামারিদের জন্য জামানতবিহীন ঋণসীমা ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত এবং জামানতযুক্ত তিন লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়া হবে। ঋণ পরিশোধের সময়সীমা থাকবে তিন থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত। সংবাদ সংস্থা বাসস থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।
প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও সিইও আহসান খান চৌধুরী বলেন, পাবনার চাটমোহর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ী এবং রংপুরে অবস্থিত প্রাণের পাঁচটি ডেইরি হাবের অধীনে ১১ হাজারের অধিক রেজিস্টার্ড দুগ্ধ খামার রয়েছে। এসব খামারের মালিককে এই ঋণ প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে দুগ্ধ খামারিদের দশ কোটি টাকার ঋণ প্রদান করা হবে। তবে ভবিষ্যতে ঋণের পরিমাণ আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।