২০১৭ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে এক লাখ চার হাজার ৭৬১ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের চেয়ে এবার জিপিএ ৫ কমেছে ৫ হাজার।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে পরীক্ষার ফলের কপি হস্তান্তর করার সময় এ তথ্য জানান।
২০১৭ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে দুপুর ২টায় প্রকাশ হবে। একই সময় ফলাফল মোবাইল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও পাওয়া যাবে। এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। বৃহস্পতিবার বেলা ১০টার দিকে তিনি গণভবনে সরকারপ্রধানের কাছে ফলাফল তুলে ধরেন। প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এবার পাসের হার ৮০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার প্রাপ্ত গ্রেড নম্বরের পাশাপাশি বিষয়ভিত্তিক নম্বরও জানতে পারবেন ফলপ্রার্থীরা। মোবাইল থেকে ফলাফল জানতে এসএমএসের মাধ্যমে SSC/DAKHIL লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখতে হবে। এরপর স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৭ লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে ফল জানা যাবে।
এ ছাড়া শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (http://www.educationboardresults.gov.bd) থেকেও পরীক্ষার্থীরা ফল জানতে পারবেন। এদিকে আগামী ৫ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত এসএসসির ফলাফল যাচাই করা যাবে। এ জন্য টেলিটক সিম থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করতে RSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে ফি বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর (পার্সোনাল আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) দেওয়া হবে।
আবেদনে সম্মত থাকলে RSC লিখে স্পেস দিয়ে YES লিখে স্পেস দিয়ে পিন নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে যোগাযোগের জন্য একটি মোবাইল নম্বর লিখে ১৬২২২ নম্বরে এসএমএস পাঠাতে হবে। প্রতিটি বিষয় ও প্রতি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা হারে চার্জ কাটা হবে। যে সব বিষয়ের দুটি পত্র (প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র) রয়েছে, যে সকল বিষয়ের ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করলে দুটি পত্রের জন্য মোট ২৫০ টাকা ফি কাটা হবে। একই এসএমএসে একাধিক বিষয়ের আবেদন করা যাবে, এ ক্ষেত্রে বিষয় কোড পর্যায়ক্রমে কমা দিয়ে লিখতে হবে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়ে লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় ২ মার্চ। এ ছাড়া ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হয় ১১ মার্চ। এ বছর ১০টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ৩ হাজার ২৩৬টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৪৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৯ লাখ ১০ হাজার ৫০১ জন ও ছাত্রী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ১১২ জন। নিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। এ ছাড়া অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯৮ জন এবং বিশেষ পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৯৮ জন।