ডিএমপি নিউজঃ শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সুদৃঢ়, কঠোর, নিশ্ছিদ্র ও সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দুর্গাপূজাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো কোন গুজবে কান না দিয়ে নিশ্চিন্তে উৎসব করুন, পুলিশ নিরাপত্তা দিবে।
আজ (০২ অক্টোবর, ২০১৮) সকাল ১১.০০ টায় আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার নিরাপত্তা সংক্রান্তে সম্বনয় সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে একথা বলেছেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
দুর্গাপূজার নিরাপত্তা নিয়ে কমিশনার বলেন, এবারের শারদীয় দুর্গাপূজা ঢাকা মহানগরীতে ২৩০টি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে। পূজা মন্ডপের গুরুত্বানুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়েছে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। আপনারা দুর্গাপূজার উৎসব নিশ্চিন্তে করুন রাষ্ট্র আপনাদের নিরাপত্তা দিবে। সোশ্যাল মিডিয়াসহ যেকোন গুজবের বিরুদ্ধে সচেতন থাকুন। কেউ মিথ্যা ও অসত্য তথ্য ছড়িয়ে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্ন করার অপচেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
এ সময় আসন্ন দুর্গাপূজায় ডিএমপি কর্তৃক গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে ধরা হয়। নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে- প্রত্যেক পূজামন্ডপে ইন ও আউটের জন্য আলাদা গেইটের ব্যবস্থা, মন্ডপের ভিতরে ও বাহিরে জেনারেটরসহ পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা, অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখা, সিসিটিভি-আর্চওয়ে স্থাপন, পুরুষের পাশাপাশি মহিলা স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা, এসবি, পুলিশ ও র্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করা ও বিসর্জনের দিনে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা যাতে কোন ব্যঘাত না ঘটে ।
এছাড়াও পূজামন্ডপ কেন্দ্রিক কোন হকার ও ভ্রাম্যমান দোকান বসাতে দেয়া হবে না। নিরাপত্তার স্বার্থে বিশেষ করে কোন ধরণের মেলা বসতে দেয়া হবে না। ছিনতাই ও ইভটিজিং প্রতিরোধে মোতায়েন থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য। পূজামন্ডপে প্রবেশের পূর্বে অবশ্যই মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশী করে প্রবেশ করানো হবে।
শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন সর্ম্পকে কমিশনার বলেন- ঢাকা মহানগর এলাকায় প্রতিমা তৈরী থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত কার কি দায়িত্ব তার নির্দেশনা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের অফিসারদের দেয়া হয়েছে । নিরাপত্তার জন্য ঢাকেশ্বরী মন্দিরে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে এবং এখান থেকে রাজধানীর সকল পূজামন্ডপের নিরাপত্তা তদারকি করা হবে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য প্রতিটি মন্ডপে স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ঠ বিভাগের ডিসি ও ওসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।
হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজার কার্যক্রম ৮ অক্টোবর শুভ মহালয় দিয়ে শুরু হচ্ছে। বিজয়া দশমী দিয়ে শেষ হবে ১৯ অক্টোবর।
উক্ত সমন্বয় সভায় পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারি সেবাদানকারী সংস্থার প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ বিভাগ, সিটি করপোরেশন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি এবং ঢাকা মহানগর দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।