ডিএমপি নিউজঃ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে কেউ যাতে কোন ধরনের গুজব ছড়াতে বা প্রচারণা চালাতে না পারে সে জন্য সকল সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, বিপিএম (বার)। তিনি বলেন, কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে, এমন প্রচারণা চালালে তা বন্ধ করার এবং তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ প্রদান করেন।
আইজিপি আজ (২৬ সেপ্টেম্বর,২০১৮) বুধবার বিকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের সম্মেলন কক্ষে দুর্গাপূজার আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ প্রদান করেন।
ড. জাবেদ পাটোয়ারী যথাযথ ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে নিরাপদে দুর্গাপূজা উদযাপনের লক্ষ্যে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি প্রতিমা তৈরির সময় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অন্য ধর্মের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
পুলিশ প্রধান আশা প্রকাশ করে বলেন, সকলের সম্মলিত প্রচেষ্টায় অতীতের মত এবারও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে।
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশনস্) সাঈদ তারিকুল হাসান দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সভায় তুলে ধরেন। সভায় আসন্ন দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় উপস্থিত পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা বলেন, পুলিশের সক্ষমতা অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেড়েছে, দেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে পুলিশ ইতোমধ্যে তাদের সক্ষমতা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে। আসন্ন দুর্গাপূজাও সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা। এ বছর সারাদেশে প্রায় ত্রিশ হাজারের বেশী মন্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে বলে পূজা উদযাপন পরিষদ নেতৃবৃন্দ জানান।
সভায় পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের অতিরিক্ত আইজিপি (এএন্ডও) মোঃ মোখলেসুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (এইচআরএম) মোঃ মহসিন হোসেনএনডিসি, অতিরিক্ত আইজিপি (এফএন্ডডি) মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরী, এপিবিএনের অতিরিক্ত আইজিপি সিদ্দিকুর রহমান, রেলওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মোঃ আবদুস সালাম, সকল রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারগণসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত ও সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ঢাকা মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, এনএসআই, ডিজিএফআই, আনসার ও ভিডিপি, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।