ডিএমপি নিউজঃ হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গা পূজাকে ঘিরে ডিএমপি নিয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। জাতীয় উৎসবে সুদৃঢ় নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পুলিশ বাহিনী সকল প্রকার নিরাপত্তা প্রদান করবে। দুর্গা পূজাকে ঘিরে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে এমনটিই জানান ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর’১৭ বেলা ১১টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দুর্গা পূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে এক প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করা হয়। ব্রিফিং এ ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জাতীয় পূজা উদযাপন কমিটি ও মহানগর পূজা উদাযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিফিং এ কমিশনার বলেন- হিন্দু ধার্মাবলম্বীদের সার্বজনীন দুর্গা পূজাকে ঘিরে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে সবধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এবারে ঢাকা মহানগরীতে ২৩১ টি পূজামন্ডপে দুর্গা পূজা হবে। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক ডিউটিতে নিয়োজিত থাকবে। ঢাকা শহরে মোট চার টি বড় মন্দির রয়েছে তার মধ্যে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, ধানমন্ডি ক্রীড়া চক্র মাঠ মন্দির, বনানী-গুলশান পূজা মন্ডপ ও রামকৃষ্ণ মিশন। এছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণীর আওতায় অন্যান্য মন্দিরগুলো আনা হয়েছে।
তিনি বলেন- পূজামন্ডপ কেন্দ্রিক স্থানীয় জনসাধারণ ও পূজা উদযাপন কমিটির সমন্বয়ে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কমিটি গঠন করেছি। কমিটি সকলের সাথে সমন্বয় করে নিরাপত্তা প্রদান করবে। এবারে প্রতিটি পূজামন্ডপ সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। দর্শনার্থীদের তল্লাশীর জন্য থাকবে আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর। হুড়াহুড়ি ও ইভটিজিং প্রতিরোধে আগম ও বহিঃগমন পথ পৃথক করা হয়েছে। পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশের সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। র্যাব ও পুলিশের ডগ স্কোয়ার্ড এবং এসবি দিয়ে মন্দিরগুলো সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার টেন্ডার ও লাইটিং ইউনিট।
তিনি আরও বলেন- চুরি, ছিনতাই ও যেকোন অনাকাঙ্গিত অপরাধ প্রতিরোধে আমরা আরও ১৫ দিন আগের থেকে চেকপোস্ট, ব্লকরেইড করে আসছি। বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে।
জনসাধারণের প্রতি আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন- ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ, পোটলা এবং কোন ধাতব ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে মন্দিরে আসা যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে রাজধানীল ওয়েজঘাট, লালকুটি ও আশুলিয়া ল্যান্ডিং স্টেশনে নেয়া হবে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শোভাযাত্রায় থাকবে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ। পিএ সেটের মাধ্যমে ধর্মীয় গানবাজনা ব্যতীত অন্যকোন গানবাজনা বাজানো থেকে বিরত থাকতে তিনি অনুরোধ করেছেন। নামাজ ও আযানের সময় সকল ধরনের গান, ঢোল ও বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার যাতে বন্ধ রাখা হয় এজন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করা হয়েছে। শোভাযাত্রা গমনাগমনের পথ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হবে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণের মধ্য দিয়ে সকল অনুষ্ঠান পালিত হবে। শান্তি শৃংখলা রক্ষা করা ও জনগনের জানমাল রক্ষার্থে বাংলাদেশ পুলিশ জীবনবাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে। সকলকে একসাথে সমন্বয় করে কাজ করার আহবান জানান তিনি।