ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সৌদি সরকারের ২৯৮ জন সরকারি কর্মকর্তাকে গ্রেফাতর করেছে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন। গ্রেফতারকৃত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি লুট করার অভিযোগে আনা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সেনা ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
রবিবার (১৫ মার্চ) রাতে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী কমিশন নাজাহ’র এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে, হেফাজতে থাকা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করছেন তদন্তকারীরা। তারা অভিযোগের ভিত্তিতে মোট ৬৭৪ জনের একটি তৈরি তালিকা থেকে ওই ২৯৮ জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে দুর্নীতি বিরোধী কমিশন। আল আরাবিয়া, রয়টার্স, সৌদি গেজেট।
দুর্নীতি বিরোধী কমিশন আরও জানায়, দেশটির দুদকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এসব লোকদের বিরুদ্ধে সম্পদ লুটপাট, অধিক চাঁদাবাজি, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় এবং পদের অপব্যবহার করার অভিযোগ আরোপ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের ভেতর ১৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়, এসব লোকদের ভেতর একজন মেজর জেনারেল এবং কয়েকজন রিটায়ার্ড অফিসারও রয়েছেন। এসব ব্যক্তিরা ২০০৫ সাল থেকে নিয়ে ২০১৫ সাল মধ্যে এসব অপরাধ সংঘটিত করেছে। গ্রেফতারকৃত এসব ব্যক্তিদের ভেতর সৌদি আরবের পূর্ব অঞ্চলের ২১ জন ব্যক্তি চিকিৎসা খাতে আর্থিক এবং প্রশাসনিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এদের মধ্যে দুই জন মহিলা এবং তিন জন স্থানীয় ব্যক্তিও যুক্ত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের আগে অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার অভিযোগ এনে গত ৭ মার্চ (শনিবার) গ্রেফতার করা হয় বাদশাহ সালমানের ভাই রাজপুত্র আহমাদ বিন আবদুল আজিজ, সাবেক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন নায়েফ ও নওয়াফ বিন নায়েফকে। অনেকেই মনে করছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সব ধরনের ভিন্নমত নির্মূলের মিশন নিয়েছেন এবং রাজা হওয়ার পথ নির্বিঘ্ন করতে চান। এই বিবেচনায় রাজতন্ত্রের অভ্যন্তরের সমালোচকদের কাছে কঠোর বার্তা দেবে দিতে এই গ্রেফতার অভিযান চালানো হয়েছে।