ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করা কঠিন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এসব দুর্যোগ সাহসের সাথে মোকাবিলা করছি। হবিগঞ্জে হাওর এলাকায় ফসলডুবি, ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে উপকূল লন্ডভন্ড, পাহাড় ধস ও বন্যা পরপর চারটি দুর্যোগে আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবেলায় রোল মডেল। গত চার মাসে আমরা চারটি বড় দুর্যোগ মোকাবেলা করেছি। দেশের মানুষ এখন আর ত্রাণের জন্য মারামারি করে না। ত্রাণ ঘরে ঘরে পৌঁছে যায়। বাংলাদেশের মানুষ এখন দুর্যোগকে জয় করতে জানে। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, তাই দুর্যোগকালীন সময়ে খাদ্যের সমস্যা বাংলাদেশে নেই। আজ বিকালে বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনকালে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় রৌহদহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ওপর আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাদারা মান্নানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বগুড়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মান্নান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, যুগ্ম সচিব মহসিন আলী, বগুড়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী, পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ। পরে মন্ত্রী কুতুবপুর, চন্দনবাইশা ও কামালপুর ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩শ’ পরিবারের মাঝে ২০ কেজি করে চাল বিতরণের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও তিনি বন্যাদুর্গতদের জন্য ৫০০ বান্ডিল ঢেউটিন, ১৫ লাখ নগদ টাকা ও ১০০ মে. টন চাল বরাদ্দের ঘোষণা দেন। শনিবার রাতে মন্ত্রী বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।