গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দুর্নীতির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট নির্দেশনা ‘জিরো টলারেন্স’। সেটাকে আমরা ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দুর্নীতিতে জড়িত কারও পাশে আমি থাকব না। দুর্নীতি যিনি করবেন তিনি আমার টিমে থাকবেন না। আত্মীয়, রাজনৈতিক পরিচয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি-এর কোনোটিই দুর্নীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণপূর্ত অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব বসতি দিবস ২০১৯ উপলক্ষে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নগর উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক ড. খুরশীদ জাবিন হোসেন তৌফিকের সভাপতিত্বে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাহাদাত হোসেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. রাশিদুল ইসলাম, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ শামীম আখতার প্রমুখ।
গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বর্জ্য দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। এখন থেকে যেখানে শিল্প হবে সেখানে ইটিপি (তরল বর্জ্য শোধনাগার) পদ্ধতি, যেখানে আবাসন হবে সেখানে এসটিপি পদ্ধতিতে বর্জ্যকে প্রক্রিয়াজাত করে নিঃশেষ করা হবে। তা নাহলে আমাদের আগামী প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাবে। পূর্বাচলে প্রতিটি বাড়ির জন্য আমরা বর্জ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের নির্দেশনা রাখব। সমন্বিত বা ব্যক্তিগতভাবে এই ব্যবস্থাপনা করা হবে। মন্ত্রী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে আমরা মাত্র ১৩ মাসে ২০ তলা ভবন করেছি। এই কৃতিত্ব দেশে কেবল গণপূর্ত অধিদফতর দেখাতে সক্ষম হয়েছে।