দিওয়ালির পর এক সপ্তাহ কাটলেও দিল্লির বাতাসে বিষের পরিমাণ নামার কোন লক্ষণই নেই। দূষণ রাজধানী দিল্লিতে তাই শ্বাস নেওয়াটাই দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে দিল্লিবাসীর কাছে। শনিবার বিকেলে হালকা বৃষ্টি হয়েছে রাজধানীর বুকে। এই বৃষ্টির ফলে দূষণ কমলেও তা বিপদজনক মাত্রা থেকে বিন্দুমাত্র কমেনি।
শনিবার বাতাসে গুণমান সূচক যন্ত্র বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) যন্ত্রে দেখা যায় বাতাসে দূষণের মাত্রা ৬০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। দূষণের পরিভাষায় এই অবস্থাকে ‘মারাত্মক ক্ষতিকারক’ হিসাবে ধরা হয়।
একিউআই সূচক ০-৫০ মধ্যে থাকলে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে অনুকূল হিসাবে ধরা হয়। কিন্তু, এ দিন ভোরে সামান্য উন্নতি হয়ে দিল্লির দূষণের মাত্রা দাঁড়িয়েছিল ৪৪৭। কিন্তু বেলা বাড়তেই অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। সূচক গিয়ে দাঁড়ায় ৬২৫-এ। দূষণের বিষ আঁধার ঘনিয়ে আসে রাজধানীর বুকে।
দিল্লির প্রায় সর্বত্রই এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। পশ্চিমের ধীরপুরে একিউআই দাঁড়িয়েছে ৫০৯, দিল্লি ইউনিভার্সিটি সংলগ্ন এলাকায় সূচক ৫৯১ ছুঁয়েছে। চাঁদনি চক এবং লোধি রোডে একিউআই যথাক্রমে ৪৩২ এবং ৫৩৭। একই পরিস্থিতি ছিল দিল্লি সংলগ্ন নয়ডা, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রাম এবং ফরিদাবাদের।
সবদিক খতিয়ে দেখে তাই ফের আগামী কাল থেকে দিল্লিতে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অরবিন্দ কেজরীবাল সরকার। দৃশ্যমানতা কম থাকায় এ দিন বাতিল ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একাধিক বিমানের উড়ানও বাতিল হয়েছে।
এর আগে, এ দিন ভোর সাড়ে ৫টায় দিল্লির একিউআই ছিল ৪৪৭। আনন্দ বিহার এবং আলিপুরে একিউআই ছিল যথাক্রমে ৪৭৮ এবং ৪৬৩। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ছিল আইটিও মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৬।