ডিএমপি নিউজঃ দূষণ মুক্ত অরণ্য নগরী বানাচ্ছে সিঙ্গাপুর। ৭০০ হেক্টর জমির উপর গড়ে তোলা হচ্ছে শহরটিকে। শহরটিতে থাকবে ৫টি বিভাগ ও ৪২ হাজার বাড়ি।
পরিবেশ দূষণ এড়াতে শহরের রাস্তায় থাকবে না কোনো যানবাহন। ঘুরে-বেড়ানো যাবে শুধু পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে। গাড়ির জন্য নেওয়া হয়েছে বিকল্প ব্যবস্থা। মাটির নিচের টানেল দিয়ে চলবে গাড়ি। এ অরণ্য নগরী তথা ‘ফরেস্ট টাউন’ প্রকল্পটির আরেক নাম হল দ্য ‘তেনগা প্রজেক্ট’।
শহরটি গড়ে উঠছে সিঙ্গাপুরের পশ্চিমে। ওই অঞ্চলে রয়েছে তেনগা বনভূমি। একটা সময়ে ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হত, ছিল বড় ইটভাঁটা ।
নতুন অরণ্য নগরীতে থাকবে ৫টি বাসযোগ্য ডিস্ট্রিক্ট। তাদের নাম হবে— গার্ডেন, পার্ক, ব্রিকল্যান্ড, ফরেস্ট হিল এবং প্ল্যান্টেশন। এই ৫টি এলাকার পরিকল্পনা করা হয়েছে নাগরিকদের সুস্থ জীবন যাপনের কথা মাথায় রেখে।
এই শহরের বাসিন্দাদের জীবিকাবৃত্তির জায়গাও হবে শহরেরই লাগোয়া ২টি আলাদা ডিস্ট্রিক্টে। পরিকাঠামো সংক্রান্ত কাজের জায়গা হবে জুরং ইনোভেশন ডিস্ট্রিক্টে। আর শহরের বাণিজ্য কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে জুরং লেক ডিস্ট্রিক্টকে।
অরণ্য নগরীর মাঝ বরাবর থাকবে ১০০ মিটার চওড়া বনভাগ। যা শহরের এক প্রান্তে থাকা জলাধারকে জুড়বে অন্য প্রান্তের প্রকৃতি সংরক্ষণ ক্ষেত্রের সঙ্গে। এই বনভাগে থাকবে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের ব্যবস্থা। নাগরিকদের প্রমোদ ভ্রমণের ব্যবস্থাও থাকবে এখানেই।
কম্পিউটারের সাহায্যে শহরটির প্রতিটি বাড়ি এমন ভাবে তৈরি করা হবে, যাতে হাওয়ার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আর তার সাহায্যেই কমানো যাবে তাপমাত্রাও।
স্মার্ট শহরের আলোও হবে স্মার্ট। জনমানবহীন এলাকায় নিজে থেকেই নিভে যাবে স্মার্ট লাইট। ফলে কমবে বিদ্যুতের ব্যবহার।
অরণ্য নগরীর বর্জ্য সংগ্রহেও রয়েছে বিশেষত্ব। দূষণ প্রতিরোধে এখানে থাকবে স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা। প্রতিটি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহ হয়ে তা এক বিশেষ প্রক্রিয়ায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে মাটির নীচে। সূত্রঃআনন্দবাজার