দৃষ্টি শক্তি নেই। তাতে কী? মনের দৃষ্টি তো রয়েছে। আর তাতেই ভরসা করে বিউটি কনটেস্টের বিচারকের পদে বসছেন আসলে নেমথ। প্রতিযোগিতার নাম ‘মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট’। তাতেই বিচারকের আসনে দেখা যাবে নেমথকে।
আসলে নেমথের কথায়, তাঁর কাছে যখন প্রথম প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে বসার প্রস্তাব এল, তখন তিনি ঠিক বুঝতে পারছিলেন না যে ঠিক কী করা উচিত? তারপর তিনি ভাবলেন যে সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক হয় না। ,আসল সৌন্দর্য হয় অন্তরের। আর সেভাবেই তিনি ‘মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট’কে নির্বাচিত করবেন।
‘মিসেস কানাডা গ্লোব’-এর ডিরেক্টর কিম ক্যাসেল অবশ্য আসলে নেমথের ৬ নম্বর বিচারকের আসনে বসা নিয়ে ভীষণ উৎসাহী।
কিমের কথায় ”বিচারকের আসনে বসতে নেমথের রাজি হওয়া এটাই প্রমাণ করে যে শারীরিক অক্ষমতার কারণে কারোর কোনও কিছু থেকে বঞ্চিত হওয়া উচিত নয়।” পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ”যে এটা সত্যিই একটা দারুন বিষয় যে ‘মিসেস কানাডা গ্লোব পেজেন্ট’ প্রতিযোগিতার বিচারক হিসাবে এমন একজনকে বেছে নেওয়া হয়েছে যিনি দৃষ্টিশক্তি হীন। এতে প্রতিযোগিতায় যিনি সেরা নির্বাচিত হবেন তিনি কোনও রকম বাহ্যিক সৌন্দর্যের দ্বারা প্রভাবিত হবে না।”